ঢাকা, সোমবার   ২১ জুলাই ২০২৫

খাসোগি হত্যাকারীদের সাজা বদলে দিল সৌদি আদালত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ১১:৩০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

জামাল খাসোগি

জামাল খাসোগি

Ekushey Television Ltd.

সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড দেয়া পাঁচ ব্যক্তির সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে সৌদি আরবের একটি আদালত। ২০১৮ সালের ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডসহ মোট আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেয়া হয়েছিল। খবর বিবিসি’র

সোমবার সৌদি আরবের সরকারি কৌঁসুলিরা জানান, রিয়াদের আদালত মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ ব্যক্তিকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। বাকি তিনজনকে ১০ বছর করে সাজা দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের ক্ষেত্রে এই সাজাই চূড়ান্ত। এর মাধ্যমে সৌদি আরবে খাসোগি হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম শেষ হলো।

তবে কৌঁসুলিরা বলছেন, সাংবাদিক খাসোগির পরিবার তাদের ক্ষমা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে জামাল খাসোগির বান্ধবী এই সাজাকে 'বিচারের নামে তামাশা' বলে বর্ণনা করেছেন।

গত মে মাসে জামাল খাসোগির ছেলে সালাহ মোহাম্মদ ঘোষণা করেন যে, তার পিতাকে যারা হত্যা করেছেন তাদেরকে তিনি এবং তার ভাই ক্ষমা করে দিয়েছেন। তারা মেনে নিয়েছেন যে, ওই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল না।

এই ঘটনায় গত জানুয়ারিতে রিয়াদের এক ফৌজদারি আদালতে ১১ ব্যক্তির বিচার শুরু হয়। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এদের মধ্যে হত্যা করা এবং হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় সৌদি আরবের একটি আদালত। 'হত্যার তথ্য গোপন এবং আইন ভঙ্গের অভিযোগে' অন্যদের ২৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হয়।

সৌদি সরকারের একজন সমালোচক জামাল খাসোগিকে ২০১৮ সালে তুরস্কের ইস্তানবুলের কনস্যুলেটে হত্যা করে একদল সৌদি এজেন্ট। কিন্তু সৌদি সরকার বলেছে, একটি 'বেপরোয়া অভিযানে' ওই সাংবাদিক খুন হন। পরের বছর ১১ ব্যক্তিকে বিচারের জন্য অভিযুক্ত করে সৌদি কৌঁসুলিরা, যদিও তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। 

সেই বিচার প্রক্রিয়াকে সেই সময় 'ন্যায়বিচার বিরোধী' বর্ণনা করে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন জাতিসংঘের স্পেশাল র‍্যাপোটিয়ার অ্যাগনেস ক্যালামার্ড। তিনি বলেছিলেন, খাসোগিকে 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সুপরিকল্পিত খুন', যার জন্য সৌদি আরব রাষ্ট্র দায়ী।

মিজ ক্যালামার্ড বলেছিলেন, ওই হত্যাকাণ্ডে সৌদি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা দায়ী, যাদের মধ্যে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও রয়েছেন। তবে এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ নাকচ করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ। তবে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে খাসোগি হত্যার অভিযোগে যুবরাজের সাবেক দুই সহকারীকে অভিযুক্ত করেছে তুরস্ক। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তুরস্কে আরও ১৮ জনের বিচার চলছে।

৫৯ বছর বয়সী সাংবাদিক জামাল খাসোগি ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে ছিলেন। তাকে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর সর্বশেষ তুরস্কের ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে ঢুকতে দেয়া যায়। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তার তুর্কী বান্ধবীকে বিয়ে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করতে। সেখানে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় খাসোগীকে।

এএইচ/এমবি


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি