ঢাকা, শুক্রবার   ১৮ জুলাই ২০২৫

গণমুখী ও দরিদ্রবান্ধব স্বাস্থ্য বাজেটের তাগিদ (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১১:৪৭, ১০ জুন ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

গনমুখী ও  দরিদ্রবান্ধব স্বাস্থ্য বাজেটেই পারে সমৃদ্ধ জাতিগঠনে ভুমিকা রাখতে। সুস্থ জনগোষ্ঠি জাতির সম্পদ-এমন নীতিকে সামনে রেখেই স্থাস্থ্যবাজেট হ্ওয়া উচিত বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।স্বাস্থসেবায় গ্রাম-শহরের বৈষম্য কমার্নোও দাবি তাদের।

স্বাস্থ্য বাজেট আবর্তিত হয় স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যকে ঘিরে। প্রধান লক্ষ্য সুলভ ও মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করে একটি সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা ।

সু-চিকিৎসা নিশ্চিত করতে  স্বাস্থ্য খাতের বাজেট বরাদ্দে কিছু বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়।

১. স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সংক্রান্ত যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ২. স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনায় জনগণের প্রত্যাশিত সেবার পরিধি সম্প্রসারণ, ৩. বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ ও প্রতিকার, ৪. মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন ও বিতরণ এবং আমদানি ও রফতানিযোগ্য ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ, ৫. জাতীয় জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক গবেষণা ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত কার্যাবলী, ৬. সেবা ইনস্টিটিউট ও কলেজ নির্মান, ৭. শিশু ও মাতৃ স্বাস্থ্যসেবা, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচী, ৮. স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সকল স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের জন্য বরাদ্দ ছিল ২৩ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৫.০৩ শতাংশ। সংশোধিত বাজেটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের  বরাদ্দ কাটছাঁট হয়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ২৪ কোটি টাকা।

সব শ্রেণির মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সেবাকে  মূল লক্ষ্য ধরে স্বাস্থ্য খাতের বাজেট বরাদ্দ নির্ধারন করা উচিত বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা-হু’র সুপারিশ অনুযায়ী একটি দেশে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির কমপক্ষে ৫ শতাংশ এবং বাজেটের ১৫ শতাংশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। প্রতি ১০ হাজার মানুষের জন্যে প্রয়োজন ১০ জন চিকিৎসক এবং ৩০ জন নার্স। বর্তমানে বাংলাদেশে এর অবস্থান হু’র নির্ধারিত মানের  তুলনায় অনেক কম। ১০ হাজার মানুষের জন্য চিকিৎসক রয়েছে ৫.৫ জন এবং নার্স ২.১ জন।

 স্বাস্থ্য বাজেট বাস্তবায়ন্ওে রয়েছে বেশ কিছু সমস্যা।

১. টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাজেটের অপ্রতুলতা, ২. বাজেটের ব্যয় প্রক্রিয়ার দুর্বলতা, ৩. বাজেট ছাড় প্রক্রিয়ায় বিলম্ব, শেষ সময়ে অর্থ অপচয়ের প্রবণতা।

নানা প্রতিক’লতার মধ্য্ওে বাঙলাদেশে শিশু ্ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস এবং টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য  সারা বিশে^ প্রশংসিত।

১. শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার হ্রাস, ২. টিকাদান কর্মসূচীর ব্যাপক সফলতা, ৩. কিছু কিছু সংক্রামক রোগ নির্মূল এবং অন্যগুলো নিয়ন্ত্রণে, ৪. পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সফলতা।

 বাংলাদেশের মতো বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশে একটি কল্যানমুখি স্বাস্থ্য বাজেটের উপরই জোর দিচ্ছেন বিশেষঞ্জরা ।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি