ঢাকা, শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই আরও ৮২ ফিলিস্তিনি নিহত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৩, ১১ জুলাই ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলার মধ্যেই আবারও রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ড। ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ বিমান হামলায় একদিনেই কমপক্ষে ৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া টানা হামলায় প্রাণ হারান এসব মানুষ। শুক্রবার (১১ জুলাই) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিনভর চলা হামলায় বেশ কয়েকটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাকে লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ চালায় ইসরায়েলি বাহিনী।

নিহতদের মধ্যে ১৫ জন একসঙ্গে নিহত হন গাজা উপত্যকার দেইর আল-বালাহ শহরে, শিশুখাদ্য সংগ্রহের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন, যাদের মধ্যে ১৯ জনই শিশু।

এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, “মানুষ যখন খাদ্যের জন্য সাহায্য নিতে আসছে, তখন তাদের ওপর হামলা চালানো পুরোপুরি অমানবিক ও নৃশংস আচরণ।” তিনি ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলার আহ্বান জানান এবং এই হামলার স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেন।

এদিকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এক বিবৃতিতে এই হামলাকে ‘গাজায় গণহত্যার ধারাবাহিক অংশ’ হিসেবে অভিহিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে স্কুল, রাস্তাঘাট, শরণার্থী শিবির ও বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। এটি একটি জাতিগত নিধনের অংশ, যা বিশ্ববাসীর চোখের সামনেই ঘটছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার ৭৬২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬ জন। দীর্ঘ এই যুদ্ধের মাঝে রাফাহ সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের আশঙ্কা এবং চলমান হামলা ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি