গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় বড় পরিবর্তন, শেয়ার কমল সরকারের
প্রকাশিত : ১৬:৪৬, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানা কাঠামোতে বড় পরিবর্তন এসেছে। এখন থেকে ব্যাংকটির ৯০ শতাংশ মালিকানা থাকবে সুবিধাভোগীদের হাতে এবং সরকারের অংশীদারিত্ব কমে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ‘গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশ’ নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংক যখন শুরু হয়েছিল, তখন এর ভিত্তি ছিল একটি মূল্যবোধ—যারা ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তারাই এর পরিচালনায় অংশ নেবেন। কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসকে টার্গেট করে ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ সরকার নিজের হাতে নিয়ে নেয়। আজকের সংশোধনের মাধ্যমে আবারও সেই মূল দর্শনে ফিরে যাওয়া হলো।”
তিনি জানান, সংশোধিত অধ্যাদেশে নতুনভাবে ‘বিত্তহীন’ শব্দটি সংযুক্ত করা হয়েছে, যাতে শুধু গ্রামীণ নয়—সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার হতদরিদ্ররাও এর আওতায় আসতে পারেন।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডে ৯ জন সদস্য থাকবেন, যাঁরা প্রত্যেকে সুবিধাভোগী সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হবেন। তাঁদের মধ্য থেকেই ৩ জন মনোনীত হয়ে চেয়ারম্যান পদে একজন নির্বাচিত হবেন।
পরিশোধিত মূলধনের ক্ষেত্রেও বড় পরিবর্তন এসেছে। আগে সরকারের অংশ ছিল ২৫ শতাংশ, যা এখন কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। অপরদিকে, সুবিধাভোগীদের অংশ ৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা হয়েছে।
এছাড়া, ‘ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট ২০১৫’ অনুযায়ী গ্রামীণ ব্যাংককে ‘জনস্বার্থ সংস্থা’ হিসেবে চিহ্নিত করার বিধানও এই অধ্যাদেশে সংযোজন করা হয়েছে।
এই পরিবর্তনের মাধ্যমে মূলত গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাকালীন উদ্দেশ্য ও নীতিমালার ধারাবাহিকতা রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন