ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে মৃত্যু ঝুঁকিতে বাস করছে ৩০ হাজার মানুষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৫, ১৩ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৯:২৮, ১৩ মে ২০১৭

চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে মৃত্যু ঝুঁকিতে বাস করছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। বসবাসরতদের উচ্ছেদে প্রশাসনের নির্দেশনার পাঁচদিন পেরুলেও এখনো শুরু হয়নি অভিযান। বরং মাসখানেক আগে উচ্ছেদ করা বাসিন্দারা আবারো মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে বসবাস শুরু করেছে। তবে, ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের পূণর্বাসনে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ি, বন্দর নগরীর লালখান বাজার, বাটালি হিল, মতিঝর্ণা, সিআরবি পাহাড়ের পাদদেশসহ ৩০টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় রয়েছে। কমিটির বিভিন্ন সুপারিশ ও উদ্যোগের পরও ২০১১ সালে নগরীর বাটালি হিল ধসে ১৭ জন ও ২০১২ সালে আকবর শাহসহ তিন এলাকায় পাহাড় ধসে ২৮ জনের মৃত্যু হয়। এভাবে গত আট বছরে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
এদিকে, বর্ষা মৌসুমে প্রাণহানি ঠেকাতে সম্প্রতি ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদে আবারো অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।
সে নির্দেশনা বাস্তবায়নের আগেই গত ২৮ মার্চ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মতিঝর্ণা পাহাড় থেকে উচ্ছেদ করা ১০০ পরিবার আবারো ফিরে এসেছে।
বসবাসরতরা জানায়, গ্যাস-বিদ্যুত-পানির বিচ্ছিন্ন করা সংযোগ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোই কিছুদিন পরে এসে মেরামত করে দিয়ে যায়। এ’ অবস্থায় প্রতিনিয়ত উচ্ছেদের বিড়ম্বনা ও মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছে হতদরিদ্র এ’সব মানুষ।
পাহাড় ধসে মৃত্যুসহ অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতি সপ্তাহে অভিযান চালানোর পাশাপাশি বসবাসকারীদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণের কথা জানিয়েছেন পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির এই কর্মকর্তা।
এছাড়া, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ওয়াসা কিংবা কর্ণফুলি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিসহ কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সহায়তার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি