ঢাকা, শনিবার   ২৩ আগস্ট ২০২৫

ছাগলকাণ্ডের মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী ও মেয়েকে ফেরাতে ইন্টারপোলে আবেদন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৭, ২৩ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৯, ২৩ আগস্ট ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ছাগলকাণ্ডে দেশব্যাপি আলোচিত এনবিআরের সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের পলাতক স্ত্রী শাম্মী আখতার ও মেয়ে ফারজানা আখতার ইপশিতাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ইন্টারপোলে আবেদন করা হয়েছে। 

পুলিশ সদর দফতরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) এই আবেদন পেয়েছে। পরবর্তীতে রেড নোটিশ জারি করতে ফ্রান্সে অবস্থিত ইন্টারপোলের সদর দফতরের কাছে এক ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের এনসিবি।

এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (এনসিবি) আলী হায়দার চৌধুরী জানান,  আদালত, প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) অথবা তদন্ত সংস্থার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে থাকে। সেই অনুযায়ি আবেদন করা হয়েছে।

জানা যায়, মতিউর ও তার স্ত্রী সন্তানের বিরুদ্ধে অন্তত ৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় মতিউর ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন। আর দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মি আখতার, মেয়ে ফারজানা রহমান ইপশিটা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান বর্তমানে পলাতক। 

মতিউরের মেয়ে ফারজানা রহমান ইপশিটা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্র বলছে, বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক মতিউরের দ্বিতীয় স্ত্রী ঘটনার পরপরই ছেলেকে নিয়ে মালয়েশিয়া চলে যান। দেশেই আত্নগোপনে থাকেন মতিউর ও তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ। 

পরবর্তীতে চলতি বছরের জানুয়ারিতে মতিউর ও লায়লা কানিজ গ্রেপ্তার হলেও তারা এখনও অধরা।

সূত্র জানায়, বর্তমানে শাম্মি আখতার কখনো মালয়েশিয়া, কখনো ভারতে অবস্থান করছেন। আর সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। বিগত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে জুম মিটিং করে নানাস্থানে নাশকতার পরিকল্পনা করছেন।

জানা যায়, মূলত এ কারণে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে নেমেছে দুদক ও পুলিশ। ইতিমধ্যে তারা ইন্টারপোলে আবেদনও করেছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি