ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

জরুরি সেবা-৯৯৯ বিষয়ে নীতিমালা হচ্ছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:২৫, ১২ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৭:৩৭, ১২ অক্টোবর ২০১৯

নীতিমালার আওতায় আনা হচ্ছে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ (ট্রিপল নাইন)। আরও জনপ্রিয় করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নীতিমালা তৈরির জন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে সরকার। এ মাসের মধ্যে খসড়া নীতিমালা দাখিলের জন্য বলা হয়েছে কমিটিকে। 

গত ২৯ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা এক আদেশে বলা হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ইমিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম’ শীর্ষক সভায় ইর্মাজেন্সি সার্ভিস পলিসি-৯৯৯ এর জন্য একটি নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সেবাটিকে আরও জনপ্রিয় ও ফলপ্রসূ করতে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (পুলিশ ও এনটিএমসি) প্রধান করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হল। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সেবা সুরক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম-সচিব (অগ্নি অধিশাখা), পুলিশ অধিদফতরের ডিআইজি (লজিস্টিকস), পুলিশ অধিদফতরের অতিরিক্ত ডিআইজি (জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি। জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম-সচিব (আইন) কমিটির সাচিবিক সহায়তা দেবেন। জরুরি সেবা-৯৯৯ আরও সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে নীতিমালার জন্য কাজ শুরু করা হয়েছে জানিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির প্রধান জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পুলিশ ও এনটিএমসি) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে দুয়েক দিনের মধ্যে বৈঠকে বসব।’
জানা গেছে, জরুরি প্রয়োজনে বিনা মূল্যে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশি সহায়তার জন্য ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ চালু করা হয়। বিপদ, দুর্ঘটনা বা কোনো সংকটময় মুহূর্তে এ নম্বরে ফোন করে সেবা নিচ্ছেন বহু মানুষ।

জরুরী সেবার কল সেন্টার সূত্রে জানা যায়, চালুর পর থেকে ৯৯৯ চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক কোটি ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ১১২টি কল এসেছে। এসব কলের মধ্যে এক লাখ ২৫ হাজার ১৩০টি কলের সেবা দেয়া হয়েছে। ৭৯ লাখ ৭৫ হাজার ২১২টি কলই এসেছে অপ্রয়োজনে। এর মধ্যে ৬৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৪টি কল করে ফোনদাতা কথা বলেননি। কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই কল এসেছে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪৯টি। মিস কল এসেছে এক লাখ ৬ হাজার ৮৬৯টি।

সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে ১৬ থেকে ২০ হাজার কল আসছে। এ পর্যন্ত যেসব কল এসেছে এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস-সংক্রান্ত সহায়তার পরিমাণ ছিল ৩০ শতাংশ, পুলিশ সহায়তার পরিমাণ ছিল ৬৩ শতাংশ এবং অ্যাম্বুলেন্স সহায়তার পরিমাণ ছিল ৬ শতাংশ। এ ছাড়া গ্যাস সমস্যা নিয়ে অভিযোগের পরিমাণ ছিল ১ শতাংশ। এ সেবায় নিত্যনতুন বিষয় সংযোজন করা হচ্ছে। 

এমনকি এ সেবায় প্রতিবন্ধীদেরও সম্পৃক্ত করতে ৯৯৯ অ্যাপে বাংলায় ভয়েস সুবিধা চালুর পাশাপাশি চ্যাট বট চালু করা হয়েছে। সারা দেশে থানা, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্সকে একটি প্রযুক্তিগত নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে এসে ৯৯৯-এর সঙ্গে যুক্ত করার কাজ চলছে। এছাড়া ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং সিস্টেম চালু করা হবে। যাতে একসঙ্গে সব অভিযোগ তদারকি ও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া যায়। কল সেন্টারে বসে একসঙ্গে ৮০ কর্মী কল গ্রহণ করতে পারেন বলে জানা যায়। 

এমএস/আরকে


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি