জলবায়ু অভিযোজনে জাপান-বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে
প্রকাশিত : ২০:৫৩, ৩০ জুন ২০১৯

‘কার্যকর পানি ব্যবস্থাপনা, টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠে পানি সম্পদ সংশ্লিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন, ‘দ্য বেঙ্গল ডেল্টা ইন্টারন্যাশনাল হাইড্রলিক ট্রেনিং এন্ড রিসার্স ইনস্টিটিউট’ এর মতো স্টেট-অব-দ্যা-আর্ট প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নে জাপান ও বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।’এই বিষয়ে দু’দেশের প্রতিনিধিরা ঐকমত্য পোষণ করেন।
রোববার সচিবালয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাপানের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী মিনোরো কিউচি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে গৃহিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগ জাপানী প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বাংলাদেশ নদীমার্তৃক দেশ। পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদী এবং তাদের উপ ও শাখা নদীর সম্মিলিত সবচেয়ে বড় ‘ডেল্টয়িক প্লেইন’ এর নিম্ন অববাহিকায় বাংলাদেশ অবস্থিত। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও এ দেশে মারাত্নক। এছাড়া বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও তার প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরণের বেশ কিছু দুর্যোগময় পরিস্থিতি মোকাবিলাও করেছে বাংলাদেশ। সরকার দীর্ঘ মেয়াদে এ ধরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দক্ষ জনগোষ্ঠী সৃষ্টিতে আন্তর্জাতিক মানের একটি ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
জাপানকে এদেশের জনগণের ‘পরীক্ষিত উন্নয়ন অংশীদার’ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী এ সময় পানি সম্পদ উন্নয়নের সংশ্লিষ্ট সব সেক্টরে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন।
জাপানী প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য ফলপ্রসূ যেকোনো উদ্যোগে অতীতের মতো তার দেশ পাশে থাকবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
জাপানী প্রতিমন্ত্রী মিনোরো কিউচি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমনে দু’দেশের পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম চর্চা বিনিময়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রশস্ত করতে পারলে জাপান আনন্দিত হবে। টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি নিশ্চিতকরণে জাপান সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও এ সময় জাপানী প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
জাপানী প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল এই আলোচনায় অংশ নেন। প্রতিনিধি দলে জাপানী প্রতিমন্ত্রীর সচিব হিরোআকি মুরাই, গ্লোবাল এনভায়রমেন্টাল ব্যুরোর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটেজি ডিভিশনের পরিচালক ফুমিও ইতো, ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এন্ড সাসটেইনেবল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অফিস এর সেকশন চীফ হিশাতো হায়াসাকা, ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এন্ড সাসটেইনেবল ইনফ্রাস্ট্রাকচার অফিস এর গবেষক মাহোয়ো ইয়ামামোতো, বাংলাদেশে জাপানের কাউন্সেলর ইয়াশুহারো শিনতো এবং বাংলাদেশে জাপানের দ্বিতীয় সচিব মাশাতোশি হিগোচি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব নুর আলম উক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
কেআই/
আরও পড়ুন