ঢাকা, বুধবার   ২২ মে ২০২৪

‘জলবায়ু পরিবর্তনে এশিয়ায় বিপর্যয় ঘটবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:২৮, ১৫ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২২:৪৬, ১৫ জুলাই ২০১৭

জলবায়ু পরিবর্তন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহে ভয়াবহ ক্ষতি বয়ে আনবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং পোস্টড্যাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চ (পিআইকে) এর যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

`ঝুঁকিতে এ অঞ্চল: এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনে মানবিক ডাইমেনশন`-  শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনে এ অঞ্চলের দেশসমূহের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি হ্রাস, বর্তমান উন্নয়নধারা বাধাগ্রস্ত এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান কমে যাবে। এতে আরো বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন এ অঞ্চলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাবে। ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ অঞ্চলে বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাবে প্রতিবছর ৩৩ লাখ লোক মারা যাচ্ছে। এ ধরনের মৃত্যুর তালিকায় চীন, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে তাপ প্রবাহে বৃদ্ধ লোকের মৃত্যু সংখ্যা ৫২ হাজারে উন্নীত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, অঞ্চলের উপকূল ও নিচু এলাকায় বন্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। ২৫ নগরীর মধ্যে ১৯টিতে সমুদ্রের জলসীমার উচ্চতা এক মিটার বৃদ্ধি পাবে। এর মধ্যে ফিলিপাইনেই সাতটি উপকূলীয় অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হবে ইন্দোনেশিয়া। ২১০০ সাল পর্যন্ত এখানে প্রতিবছর ৫৯ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশে একটি স্বাভাবিক বছরে নদী প্লাবিত এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে দেশের ২০ থেকে ২৫ ভাগ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ১০০ বছরের বন্যা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এই সময় দেশের মোট এলাকার ৬০ ভাগ ভূখণ্ড প্লাবিত হয়েছে। গত ২০ বছরের মধ্যে তিন বছর যথাক্রমে ১৯৮৭, ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে বড় বন্যা হয়। এ সময় দেশের ৬০ ভাগের অধিক এলাকা প্লাবিত হয়।

এতে আরো বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বসতি সমস্যা, ব্যাপক অভিবাসন, বিশেষ করে নগর এলাকায় বৃদ্ধি পাবে। ফলে নগরীতে জনসংখ্যার চাপ বাড়বে এবং সেবামূলক খাতগুলোতে চাপ বাড়বে। বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও টাইফুনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। এ বৃদ্ধির পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে বৃষ্টিপাত ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি