ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৩৩, ১৯ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৯, ১৯ আগস্ট ২০১৮

মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা আর মাত্র দু’দিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অাল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হযরত ইবরাহীম (অা) এর রীতি অনুসরণ করে এবারও সারা বিশ্বের অগণিত মুসলমান এ ধর্মীয় উৎসব পালন করবেন। রাষ্ট্রীয় ভাবেও ঈদ উপলক্ষে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী।   

দেশের অন্যতম বৃহৎ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে। সে উপলক্ষে এরই মধ্যে সাজানো হয়েছে ঈদগাহ ময়দান। জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল আযহার প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিচারপতি, কূটনীতিক, সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।  

আজ (রবিবার) বিকেলে পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী জাতীয় ঈদগাহ ময়দান পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।  

পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, জাতীয় ঈদগাহে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু আনা যাবে না। পুরো ঈদগাহ মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। এছাড়া থাকবে ডগ স্কোয়াড, বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল, সোয়াত। মুসল্লিদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা, খাবার পানি, টয়লেটেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  

ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুতিতে নিয়োজিতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুধু ঈদগাহ মাঠের ভেতরেই বসানো হয়েছে ৬৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা।     

তবে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়। জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আযহার নামাজে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।  

সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ঈদুল আযহার নামাজ আদায়ের জন্য বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যাপ্ত পানি ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। চারটি কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকা। নির্বিঘ্নে ঈদের নামাজ আদায়ে পুরো ঈদগাহের চারপাশে পোশাকে ও সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। জাতীয় ঈদগাহের পূর্বদিকে সর্বসাধারণের জন্য দৃষ্টিনন্দন গেট নির্মাণ করা হয়েছে।

পশ্চিম দিকে থাকছে ভিআইপিদের গেট। এ ছাড়া পূর্বদিকে পানির পাম্প সংলগ্ন ছোট গেট রাখা হয়েছে নারীদের জন্য। প্রত্যেকে মেটাল ডিটেক্টর এবং আর্চওয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। পূর্ব দিকে ফুটপাথ সংলগ্ন ওজুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শেষ হয়েছে ঈদগাহ মাঠের সীমানা প্রাচীর ও আশপাশের গাছে রং করার কাজও।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে আশপাশের রাস্তা ও ফুটপাথ। ময়দানের সামনের মিনারে রং লাগানো শেষ। মাঠের ঘাস কেটে সমান করার কাজ চলছে। ঈদগাহ মাঠের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত আছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। নিরাপত্তার দিকটি দেখছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (RAB)। স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) কন্ট্রোল রুমও রয়েছে।

রাষ্ট্রপতিসহ বিশিষ্টজনেরা জাতীয় ঈদগাহের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করবেন বলে জানা গেছে। তবে নিরাপত্তা তল্লাশির পরই সবাই ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করতে পারবেন। মাঠ প্রস্তুতে দুই সপ্তাহ ধরে ঈদগাহে দিন-রাত পরিশ্রম করে চলেছেন দুই শতাধিক শ্রমিক।

জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রত্যেক ঈদে লাখো মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করে থাকেন। শামিয়ানার ভেতরে ৮৫ হাজার পুরুষ ও পাঁচ হাজার নারী নামাজ আদায় করতে পারেন। দুই লাখ ৬০ হাজার বর্গফুটের জাতীয় ঈদগাহ মাঠ প্রস্তুতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

 

আআ/এসি   

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি