জাপানের আকাশসীমায় উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র
প্রকাশিত : ০৯:৫৫, ২৯ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১২:১৫, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের উত্তরাঞ্চলের আকাশসীমার ওপর দিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। জাপানের পক্ষ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করার কোনো চেষ্টা চালানো হয়নি।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ঘটনাকে ‘নজিরবিহীন হুমকি’ বলে উল্লেখ করেছেন। খবর বিবিসির।
শুক্র ও শনিবার কয়েক দফা স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার উত্তেজনার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটল। সম্প্রতি সময়ে উত্তর কোরিয়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে গেলেও তা জাপানের উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল।
রয়টার্স লিখেছে, উত্তর কোরিয়ার ছোড়া এবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি মাঝারি পাল্লার একটি হোয়াসং-১২ মিসাইল বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বার্ষিক সামরিক মহড়ার মধ্যেই এর পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া।
জাপানের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়ার পশ্চিমাঞ্চল থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ার আগে প্রায় ১৪ মিনিট জাপানের লোকালয়ের ওপরে ছিল।
উত্তর কোরিয়া সুনান থেকে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে সাগরে পড়ার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি তিনটি অংশে ভাগ হয়ে যায়। তার আগেই নাগরিকদের সতর্ক করে মোবাইল ফোনে বার্তা পাঠানো হয় জাপান সরকারের পক্ষ থেকে।
জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়াশিদা সুগা টোকিওতে সাংবাদিকদের বলেন, এটি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য বড় ধরনের হুমকি। এভাবে আর চুপ থাকা যায় না। আমরা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আরও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলব।
পিয়ংইয়ংয়ের এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে জঘন্য, নজিরবিহীন এবং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তায় বড় হুমকি ও ক্ষতি বলে উল্লেখ করেছেন শিনজো আবে। তিনি বলেছেন, সরকার জনগণের জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাই বিশ্বনেতারা উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সব ধরনের চাপ অব্যহত রাখুক।
জাপানের স্থানীয় প্রচারমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনায় ওই অঞ্চলে কোনো ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
এর আগে ১৯৯৮ ও ২০০৯ সালে উত্তর কোরিয়ার ছোড়া দুটি রকেট জাপানের আকাশ সীমা অতিক্রম করে। উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়েছিল, সেগুলো কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল, অস্ত্র হিসেবে নয়।
//এআর
আরও পড়ুন