ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

জাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চের বিক্ষোভ

প্রকাশিত : ১৭:৩৫, ৪ জুলাই ২০১৮

প্রেসক্লাবে অভিভাবক সমাবেশে পুলিশি হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

বুধবার বেলা ১২টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চের এ ব্যানারে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে হুশিয়ারি প্রদান করেন বক্তারা।

মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অভিভাবকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে পুলিশ হামলা করে।

এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধাপক রেহনুমা আহমেদ সহ ঢাবির অধ্যাপক ফাহমিদুল হক ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এই ঘটনার প্রতিবাদে জাবির সমাজবিজ্ঞান অনুষদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চ। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অনুষদ প্রদক্ষিণ করে নতুন কলা ভবন প্রাঙ্গনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুইশত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, ‘শুরু থেকেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকার ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কোটা বিরোধী আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়ে সরকার কোটাধারীদের উস্কে দেওয়া অপচেষ্টা করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ধরনের অপচেষ্টা রুখে দাড়াবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশে বেকারত্ব দূর করা সরকারের দায়িত্ব। তারা সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ছাত্ররা যখন তাদের দাবির জন্য আসছে তখনই সরকার ছাত্রদের বাধা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী সেদিন কোনো সিদ্ধান্ত দেননি বরং রাগ প্রকাশ করছেন। সেই রাগের জায়গা থেকে এখনকার এই দমন নিপীড়ন চালাচ্ছেন তিনি। গতকাল অভিভাবকদের উপর যে নিপীড়ন চালানো হয়েছে জনগন কখনোই তা মেনে নিবে না। জনগন এর প্রতিবাদ করবে। এই প্রতিবাদ অন্যায়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ও বাংলাদেশকে রক্ষার প্রতিবাদ।’

শিক্ষক শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চের আহ্বায়ক ও সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন বলেন, ‘জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ নিয়ে বলুক আর যে উদ্দেশ্যেই বলুক কোটা সংস্কার করা প্রয়োজন এটা তার কাছেও পরিস্কার। কোটা বাতিল করা সম্ভব নয় এটা আমরাও জানি। এ জন্যই চাই কোটা সংস্কার করা হোক। শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্যতার মাধ্যমে দেশের সেবা করতে চায়। তাদের সেই সুযোগটা দেন। কোটার নামে অবিচার বন্ধ করে অতি দ্রুত সংস্কার করুন।’

প্রেসক্লাবের সামনে অভিভাবকদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশী হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা কখনো দেশ থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য অস্ত্র ধরে নাই। বরং দেশের প্রতি ভালবাসা থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলো।’

এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের কে একজন ছাত্রের ভুমিকা গ্রহণ করে সাধারণ ছাত্রদের কাতারে এসে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, অধ্যাপক রায়হান রাইন, অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মো. আশিকুর রহমান, ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মাহাথির মুহাম্মদ, ছাত্র ইউনিয়নের শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আতাউল হক চৌধুরী প্রমুখ।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি