জাহাজ এমভি একরাম সংরক্ষণের উদ্যোগ
প্রকাশিত : ১০:৩৫, ৩ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১১:০১, ৩ জুলাই ২০১৭
ছবি: মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত জাহাজ এমভি একরাম।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এমভি একরাম জাহাজটি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে এই কার্গো জাহাজ বন্দর উপজেলার সোনাকান্দায় শীতলক্ষ্যা নদীতে রয়েছে।
রোববার বিকেলে বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তারা জাহাজটি পরিদর্শন শেষে এর সংরক্ষণে বন্দর থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। একই দিনে জাহাজটিকে যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য বিআইডব্লিউটিএর অধীনে হস্তান্তরের জন্য নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ জেলা বন্দর।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবারুদ বহনের কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল এমভি একরাম। মুক্তিযোদ্ধারা চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীতে এটি ডুবিয়ে দেন। ২০০৮ সালে বন্দরের সোনাকান্দা এলাকার মোক্তার হোসেন বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক থেকে নিলামে কিনে ডাকাতিয়া নদী থেকে একই বছরের ১৪ নভেম্বর জাহাজটি উদ্ধার করেন। পরে জাহাজটি বন্দরের সোনাকান্দায় শাহেন শাহর ডকইয়ার্ডে এনে রাখা হয়।
জাহাজটি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি হিসেবে সংরক্ষণের জন্য সারা দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এটিকে সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। জাহাজটি ১৯৬৫ সালে হল্যান্ডে নির্মিত হয়। একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি রেজিস্ট্রেশন হয় এমভি একরাম নামে। স্বাধীনতার পর জাহাজটি বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের অধীনে চলে আসে।
//আর
আরও পড়ুন