ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

টিকার দ্বিতীয় ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালও সফল!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৯, ২৩ জুন ২০২০

Ekushey Television Ltd.

বিশ্বব্যাপী করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সফল না হলেও আশার কথা শোনাচ্ছেন অনেকে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি প্রতিষেধকটির উৎপাদনের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’। অক্সফোর্ডের টিকা উৎপাদনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। সেপ্টেম্বরে মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে একজোটে এগোচ্ছে এই দুই সংস্থা।

অ্যাস্ট্রা জেনিকা বা সিরাম ইনস্টিটিউট ছাড়াও মার্কিন সংস্থা মোদার্না , জনসন এন্ড জনসন, চীনা সংস্থা  ক্যানসিনো বায়োলজিকস, এমন কী বিশ্বের অন্যতম সিগারেট প্রস্তুতকারী সংস্থা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো করোনার প্রতিষেধক তৈরি করতে ব্যস্ত। এরই মধ্যে বাঁদরের উপর ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালে আশানুরূপ ফল মিলেছে বলে দাবি করলেন থাইল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।

জানা গিয়েছে, প্রথমে ইদুঁরদের ওপর এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। ওই পরীক্ষায় সফল্যের পরই মে মাসের শেষের দিকে বাঁদরের উপর ওই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কাজ শুরু করা হয়। এ বার বাঁদরের উপর ক্লিনিক্যাল ট্র্যায়ালেও সাফল্য পেলেন থাইল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা।

থাইল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা ও বিজ্ঞান মন্ত্রী সুভিট মেয়সিনসি জানান, বাঁদরের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগের ফলাফল বেশ ভাল। সবকটি বাঁদরের শরীরেই করোনার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে। তিনি জানান, আরও একবার এই টিকার দ্বিতীয় জোড প্রয়োগ করা হবে ওই বাঁদরগুলির উপর। ওই ট্র্যায়ালেও সাফল্য পেলে আগামী অক্টোবরের মধ্যে মানুষের শরীরে এই প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। থাইল্যান্ডের দুটি সংস্থা করোনা প্রতিষেধক তৈরি নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যেই থাইল্যান্ডও করোনা প্রতিষেধক তৈরির কাজে সাফল্য পাবে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি