ট্রাম্পকে আলিঙ্গন করা হল না মোদির
প্রকাশিত : ১২:১৪, ২৯ জুন ২০১৯

এবার আর সুযোগ হল না জাপটে ধরার। আলিঙ্গনের সঙ্গে কূটনীতিকে মিশেল করে যিনি নতুন প্রবণতা তৈরি করেছেন, সেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবার জাপানের ওসাকায় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসলেও তাঁকে আলিঙ্গন করার কোনও সুযোগই পাননি!
দ্বিতীয়বারের মতো লোকসভা নির্বাচনে জিতে আসার জন্য ট্রাম্প এ দিন মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তার বাইরে দুই রাষ্ট্রনেতার তেমন ‘অন্তরঙ্গ’ মুহূর্ত চোখে পড়েনি জাপানে। দ্বিতীয় বার সরকার গঠন করার পরে মোদীর সঙ্গে ট্রাম্পের এটাই ছিল প্রথম বৈঠক।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এই জয়ের যোগ্য আপনি। আপনি দারুণ কাজ করেছেন। আমার মনে আছে, আপনি যখন প্রথম বার সরকারে আসেন, তখন ভারতে প্রচুর ছোট ছোট গোষ্ঠী ছিল, যারা নিজেদের মধ্যে লড়াই করত। কিন্তু এখন তাদের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া বেড়েছে। সবাইকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছেন আপনি। এটাই আপনার অসাধারণ ক্ষমতা।’
বাণিজ্যে শুল্ক যুদ্ধ এবং রাশিয়ার থেকে অস্ত্র কেনা নিয়ে এই মুহূর্তে ভারত-আমেরিকার সম্পর্কে নানা টানাপড়েন তৈরি হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের এস ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তির বিষয়টি অবশ্য এই বৈঠকে ওঠেইনি। ট্রাম্প-মোদির আলোচনা কোন পথে এগোয়, তা জানতে আগ্রহী ছিলেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এবার ট্রাম্পের মুখে মোদির প্রশস্তি শোনা গেলেও হাবেভাবে তিনি এতটাই কঠিন ছিলেন যে, মোদী তাঁর আলিঙ্গন-কূটনীতি কাজে লাগানোর মতো কোনও মুহূর্তই খুঁজে পাননি।
জয়ের অভিনন্দন জানানোর পরে ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আমরা দারুণ বন্ধু হয়ে গিয়েছি। আমাদের দেশগুলিও পরস্পরের কাছাকাছি এসেছে। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। সামরিক ক্ষেত্রসহ নানা বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। বাণিজ্য নিয়েও আমাদের কথা হবে।’
মোদী বলেছেন, ‘আমরা আমেরিকার সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক রেখে কাজ করতে চাই। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। আমরা আরও ভাল ভবিষ্যৎ গড়তে চাই।’
সূত্র: আনন্দবাজার
এমএস/
আরও পড়ুন