ঢাকা, সোমবার   ০৫ মে ২০২৫

ডাকসু নিয়ে হইচই, চাকসু বন্ধ ৩ দশক

প্রকাশিত : ১৬:১২, ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

অবশেষে ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জট খুললো। দিনক্ষণ ঘোষণা করা হলো ডাকসু নির্বাচনের। আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। শুধু ছাত্র সংগঠনই নয়, ডাকসু নির্বাচনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের রাজনীতির অঙ্গনেও। প্রায় আড়াই যুগ পর সবার এই প্রত্যাশা পূরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অন্যদিকে, প্রায় তিনি দশক ধরে বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এ দিকে, চাকসু নির্বাচন যে কোনও সময় দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তবে এ জন্য ছাত্রসংগঠনগুলোর কাছ থেকে ‘ঝামেলাহীন পরিস্থিতির’ নিশ্চয়তা চান তিনি।

সম্প্রতি ডাকসু নির্বাচন তারিখ ঘোষণার পর চাকসুসহ চট্টগ্রামের অন্যান্য কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।

গত বুধবার চাকসু নির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে ‘জয় বাংলা ভাস্কর্য’ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র ইউনিয়ন। একইসঙ্গে সংগঠনটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছে।

ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা বলেন, ছাত্র সমাজের ন্যায্য অধিকার আদায় ও ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু ও প্রগতিশীল সংস্কৃতির বিকাশ ত্বরান্বিত করতে অবিলম্বে চাকসু নির্বাচন দিতে হবে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত চাকসু নির্বাচন হয়েছে ছয়বার। ১৯৭০ সালে প্রথম ভিপি নির্বাচিত হন মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং জিএস আবদুর রব। ১৯৭২ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনে ভিপি হন শমসুজ্জামান হীরা ও জিএস হন মাহমুদুর রহমান মান্না। ১৯৭৪ সালের তৃতীয় নির্বাচনে ভিপি হন এসএম ফজলুল হক ও জিএস হন গোলাম জিলানী চৌধুরী, ১৯৭৯ সালের চতুর্থ নির্বাচনে ভিপি হন মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী ও জিএস হন জমির চৌধুরী, ১৯৮১ সালের পঞ্চম নির্বাচনে ভিপি হন জসিম উদ্দিন সরকার ও জিএস হন আবদুল গাফফার।

সর্বশেষ নির্বাচন হয় ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা নাজিম উদ্দিন (ভিপি), আজিম উদ্দিন (জিএস) ও মাহবুবের রহমান শামিম (এজিএস) নির্বাচিত হন। ওই কমিটির সদস্য সংখ্যা ছিল ২৭। কিন্তু একই বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনে হেরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্র ঐক্য নেতা ফারুকুজ্জামান নিহত হওয়ার পর তৎকালীন প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে চাকসুর সব কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। এরপর আর চাকসু নির্বাচন হয়নি।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি