ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

ঢাবিতে উই দ্য ড্রিমার্স এর ইর্ন্টান সামিট অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত : ১৪:৫৭, ১৩ এপ্রিল ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজনেস ফ্যাকাল্টির প্রফেসর ড. হাবিবুল্লাহ মিলনায়তনে ইর্ন্টান সামিট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই দ্য ড্রিমার্স এর উদ্যোগে ইর্ন্টান সামিট-১৯ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে চিকিৎসা পেশায় প্রতিবন্ধকতা এবং সম্ভাবনা, ক্যারিয়ার গাইডলাইন, চিকিৎসা শিক্ষায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন, বিসিএসে কোয়ালিফাই হওয়ার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।
উক্ত সামিটে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ থেকে ইর্ন্টানরত চিকিৎসকরা অংশগ্রহণ করেন। সামিটে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেককে সনদ দেয়া হয়েছে।

সামিটের আহ্বায়ক ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ইর্ন্টানরত চিকিৎসক ডা. ফাতিহা নাসরিনের সঞ্চালনায় সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগে সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান।

এসময় সামিটে অংশ নেয়া ইর্ন্টানরত চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনমূলক বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক ডা. রিয়াজাউদ্দিন ডেনিস, ডা. আদিৃতা আফজাল ও ডা. আসাদুজ্জামান নুর, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ইর্ন্টানরত চিকিৎসক ডা. করিমুল ইসলাম রাফি, মাইন্ড ম্যাপারস বাংলাদেশের সিনিয়ির এক্সিকিউটিভ গৌরি ত্রিপুরা। সামিটের স্বাগত বক্তব্য রাখেন উই দ্য ড্রিমার্স এর সিইও কুতুব তারিক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, চিকিৎসা পেশার একটি বড় অসুবিধা হচ্ছে এটি একটি ‘ভুল বুঝাবুঝির পেশা’। পুরো সমাজ তাদের বিরুদ্ধে। এ পেশার পক্ষে কথা বলার লোক দিনদিন কমে যাচ্ছে। চিকিৎসদের মধ্যে যারা মানবিক রূপের ডাক্তার তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের জগতে ডুব দিয়ে থাকেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, চিকিৎসদের মধ্যে যারা অসাধারণ ব্রিলিয়ান্ট, সমাজ তাদের চিনতে পারতে পারছে না। এসব থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা সবাই আগে মানুষ, তারপর চিকিৎসক বা অন্যকিছু।

তিনি বলেন, চিকিৎসকদের জন্য ইর্ন্টানশিপ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু আমাদের দেশে এটিকে অতো গুরুত্ব দেয়া হয়না। আমি কোনমতে হাফ ছেড়ে বাচলে হয়-এভাবে সেটাকে দেখা হয়। তবে এখানে এনজয় করতে হবে। আমাদের যা সুযোগ-সুবিধা আছে এর মধ্যে দিয়ে কাজ করে যেতে হবে।

সামিটে অন্যান্য বক্তারা বলেন, এমবিবিএস পাশ করে সবাই বিসিএস কিংবা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করা চেষ্টা করেন। আবার পরিবারের প্রত্যাশাও থাকে। এসমব মিলিয়ে অনেকেই হতাশার মধ্যে পড়ে। তবে হাল ছেড়ে দিলে হবে না।

বক্তারা আরও বলেন, দক্ষ-যোগ্য এবং দেশ প্রেমিক চিকিৎসক হতে হবে। যারা রোগী বান্ধব হবেন। সবাইকে ভালো চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি দক্ষ ও গুণাবলি সম্পন্ন মানবিক মানুষ হয়ে উঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

টিআর

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি