ঢাকা, সোমবার   ১৮ আগস্ট ২০২৫

তিন শর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যেতে পারে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৯, ১৮ আগস্ট ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তিন শর্তে চাকরিজীবী পুরুষদের পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম। তিনি বলেন, মাতৃত্বকালীন ছুটির সঙ্গে পিতৃত্বকালীন ছুটির কথা বলা হচ্ছে। বাবারা শিশুদেরকে ঠিকমতো সময় দিলে পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া যায়। তবে এজন্য তিনটি শর্ত মানতে হবে।

তিন শর্তের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘শিশুকে সময় দিতে হবে, শিশুর যত্ন নেওয়ায় সমান অংশগ্রহণ থাকতে হবে এবং শিশুটির মায়ের সেবা করতে হবে। পিতৃত্বকালীন ছুটি যদি দিতে হয়, তাহলে সেখানে লিখিত শর্ত থাকবে।’

সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের (বিবিএফ) সহযোগিতায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘মাতৃদুগ্ধ পানকে অগ্রাধিকার দিন, টেকসই সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলুন’।

নূরজাহান বেগম বলেন, শিশুদের গুঁড়া দুধ খাওয়াতে উদ্বুদ্ধ না করে সমন্বিতভাবে মাতৃদুগ্ধের ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। এ জন্য সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সব ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দোষারোপ করে লাভ নেই। যেখানে ধারণ ক্ষমতা ২ হাজার ৬০০ সেখানে রোগী আসে ৫ হাজার। এক হিসাব অনুযায়ী ৬৫ শতাংশ ডেলিভারি হয় হাসপাতাল বা ক্লিনিকে এবং ৩৫ শতাংশ গৃহে। কাজেই ধাত্রীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, মাতৃদুগ্ধ নিয়ে কাজ এককভাবে সরকার বা স্বাস্থ্য সেক্টরের নয় বরং এনজিও কর্মী থেকে শুরু করে মসজিদের ইমামেরও। খুতবায় এ বিষয়ে কথা বলা যেতে পারে। এমনকি মন্দির ও গির্জায় সচেতনতামূলক আলোচনা হতে পারে। এখানে মিডিয়ারও দায়িত্ব আছে। মিডিয়া আমাদের কাজগুলো, সচেতনতামূলক কার্যক্রমগুলো উপস্থাপন করে জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে।

তিনি বলেন, মায়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকলে শিশু ভালো দুধ পাবে। কাজেই মায়ের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সরোয়ার বারী বলেন, মেধাসম্পন্ন জাতি গড়ে তুলতে চাইলে মাতৃদুগ্ধ নিশ্চিত করার বিকল্প নেই। মাতৃদুগ্ধের হার ৬৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশে নেমে এসেছে। মায়ের দুধ শিশুর জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী।

কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন- স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আশরাফী আহমদ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. এসকে রায়, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. সারিয়া তাসনিম প্রমুখ।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি