ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

দুধে ক্ষতিকর উপাদানের দায় কোম্পানিগুলোকেই নিতে হবে: সিসিএস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৪, ১৬ জুলাই ২০১৯

দেশের বাজারে প্রচলিত পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়ার যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

দুধে ডিটারজেন্ট, সীসা, এন্টিবায়োটিক বা ফরমালিনের মতো উপাদান জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ও হুমকির বিষয়। সিসিএস মনে করে, দুধে ক্ষতিকর উপাদানের কারণে স্বাস্থ্যখাতে সরকারের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হওয়া, জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়া, দুগ্ধশিল্পে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি ও এসডিজি বাস্তবায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই)পাস্তুরিত দুধে কোনো ক্ষতিকর উপাদান পায়নি। কিন্তু বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএসএফএ)পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯৩টিতে ক্ষতির উপাদান পেয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয়ে সরকারের দুই সংস্থার বিপরীতমুখী বক্তব্যে ভোক্তা সাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।

পণ্যের মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই শুধুমাত্র স্ট্যান্ডার্ড প্যারামিটার পরীক্ষা করে। বিএসটিআইয়ের দুধের স্ট্যান্ডার্ড (বিডিএস) প্যারামিটার প্রায় ১৭ বছর আগের এবং তা আর হালনাগাদ করা হয়নি। এমতাবস্থায় প্রতিষ্ঠানটি তাদের নির্ধারিত ৯টি প্যারামিটার পরীক্ষা করে এবং ওই প্যারামিটারে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্ট অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এমনকি এন্টিবায়োটিক পরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্র সামগ্রীও বিএসটিআইয়ের নেই।

ফলে দুধে ক্ষতিকর কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি বলে বিএসটিআই যে রিপোর্ট দিয়েছে তা ভোক্তা সাধারণের কাছে কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে সিসিএস।

অন্যদিকে, বিএসএফএ মূলত সেফটি প্যারামিটার পরীক্ষা করে থাকে। তাদের ফেসটি প্যারামিটার পরীক্ষায় ক্ষতিকর এসব উপাদান পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টার থেকে দুই দফায় প্রকাশিত রিপোর্টেও দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করা হয়ছে।

এমতাবস্থায়, বিএসএফএ ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টার কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্ট উচ্চতর কোনো গবেষণা বা পরীক্ষায় ভুল প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত ভোক্তা সাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য বলেই বিবেচিত হয়।

সিসিএস মনে করে দুধ উৎপাদন, সরবরাহ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্বহীনতা, দুর্বলতা, উদাসীনতা ও জবাবদিহিতার অভাবে এ ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

তারা মনে করে, ভোক্তার জন্য নিরাপদ পণ্য নিশ্চিত করা উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানেরই দায়িত্ব। এজন্য দুধে ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া এবং জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির সকল দায়ভার কোম্পানিগুলোকেই নিতে হবে।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি