ঢাকা, বুধবার   ০২ জুলাই ২০২৫

দুশ্চিন্তায় পাটচাষীরা (ভিডিও)

গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও রাজবাড়ী প্রতিনিধির খবর

প্রকাশিত : ১১:১৩, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১১:২৩, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

Ekushey Television Ltd.

ফলন ভালো হলেও বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পাটচাষীরা। খাল-বিল, ডোবা-নালায় নেই পানি। ঠিকমতো পচাতে না পারায় নষ্ট হচ্ছে পাটের মান।

বর্ষা চলে গেলো। অথচ মাঠ, খাল, ডোবা-নালায় নেই পানি। পাট কেটে বিপাকে চাষীরা। পানির সন্ধানে ভ্যানগাড়িতে দূরে কোথাও পাট নিয়ে যাচ্ছেন চাষী।

সোনালী আঁশখ্যাত পাটের আবাদ সবচেয়ে বেশি হয় বৃহত্তর ফরিদপুরে। গোপালগঞ্জে এবার ২৬ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। অন্য বছরের চেয়ে এবার ফলনও ভালো। কিন্তু পানির অভাবে পাট পচাতে পারছেন না কৃষক।

কৃষকরা বলেন, “এতো ভালো পাট গত ১০-১২ বছরেও হয়নি। কিন্তু এখন পাট পচাতে কোনো জায়গায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এখন যে কি করি, পাট নিয়ে খুব বিপদে আছি।”

মাদারীপুরেও এ বছর পাটের ফলন ভালো। কিন্তু ঠিকমতো পচাতে না পারায় হতাশ চাষীরা।

চাষীরা বলেন, “পানি তো একদম নাই। অনেক কষ্ট করেছি, এখন পাট যাচ্ছে শুকিয়ে।”

কৃষি বিভাগ জানায়, বাজার দর ভালো হলেও পানি সংকটে খারাপ হচ্ছে পাটের মান।

গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, “যতি ভালো পচানো না যায় তাহলে পাটের মান খারাপ হয়ে যায়। পাটের রং ভালো হয়না। এরকম সমস্যা আছে।”

এদিকে রাজবাড়ীতে গত বছরের চেয়ে এবার দুই হাজারেরও বেশি হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। তবে বৃষ্টি না থাকায় ফলন কম। এছাড়া মাঠ, বিল, পুকুর বা ডোবা, কোথাও নেই পানি।

কৃষক জানান, “পানি নাই, পাট জাঁক দেওয়ার জায়গা নাই। আমরা লোকসানে পড়ে যাচ্ছি। পানি না থাকার কারণে পাট কালো হচ্ছে, পাটের বাজার খারাপ।”

পানির অভাবে পাটের রং কালো হওয়ায় বাজার দর মণ প্রতি এক হাজার টাকা কম পাচ্ছেন বলেও জানান চাষীরা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি