ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ধর্ষণের হাত থেকে ইতালীতে তরুণীকে বাঁচালেন বাংলাদেশি আলমগীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ২৩:৩৫, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে ধর্ষণের হাত থেকে এক তরুণীকে বাঁচালেন বাংলাদেশি প্রবাসী হোসেইন আলমগীর। মাতালদের ২৫ জনের একটি দল ওই তরুণীকে ধর্ষণ করতে গেলে তাকে রক্ষা করেন ফুল বিক্রেতা আলমগীর।

ফটোগ্রাফার গায়া গুরনোত্তা জানান, মাতালরা একজোট হয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভুল করে যৌনকর্মী ভেবে তারা তার পিছু নিয়েছিল। তাকে পালাতে দেখে অশ্লীল ভাষায় গালিও দেন ওই যুবকরা।

ভুক্তভোগী গায়া নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘আমি ফ্লোরেন্স শহরকে খুব ভালোবাসি; সেই সঙ্গে রাত আমার খুব পছন্দের সময়। রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ একা বের হয়েছিলাম রাস্তায় হাঁটতে। আমি অাসলে হাঁটতে ভালোবাসি। এরপর সেই মাতালরা আমার পিছু নিয়ে বলতে থাকে, আমাদের সঙ্গে চলো, মজা করি, ২৫ জন একসঙ্গে, তোমার রাত খুব ভালো কাটবে।’

‘নিজেদের প্রস্তাবকে দয়া এবং অনুগ্রহ হিসেবেও বর্ণনা করেন তারা। তারা বলেন, তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাটা হবে কোনো নারীর বোকামি। এতো লোকজনের প্রস্তাব একসঙ্গে পাওয়া যাবে না বলেও তারা দাবি করেছেন।’

‘এক পর্যায়ে আমাকে অস্ত্রের মুখে গায়াকে জিম্মি করে নেশাদ্রব্য খাওয়ানোর চেষ্টা করে। আর ঠিক সেই মুহূর্তে ফুল বিক্রেতা হোসেইন আলমগীর সেখানে এসে আমাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ’

দীর্ঘদিন (২০০৫ সাল থেকে) ইতালিতে বসবাস করছেন আলমগীর। সে কারণে অনেক কিছুই তার চেনাজানা।

বীরত্বের সঙ্গে গায়াকে সেখান থেকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে দেন তিনি। এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার হওয়ার জন্য তাকে তোয়ালে দেয়ার পর হাতে একটা গোলাপও তুলে দেন তিনি; যাতে হেনস্থা হওয়ার পরও মানসিক অবস্থা কিছুটা ভালো হয়।

আলমগীরের ব্যাপারে গায়া লেখেন, ‘হুসেইনের মতো মানুষের জন্য পৃথিবীকে অসংখ্য ধন্যবাদ; যে ব্যক্তি কোনো বিনিময় ছাড়াই অন্যকে সহযোগিতা করতে পারে! তাকে আমি কোনোদিনই ভুলব না।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এই গল্প তিনি এ কারণে শেয়ার করতে চান, যাতে করে সারাবিশ্বে নারীদের পক্ষে জনমত তৈরি করা সম্ভব হয়। তবে এ ব্যাপারে গায়া পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।’ সূত্র : ডেইলী মেইল।

ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি