নলকূপের গর্তে আটকে থাকা শিশুটি উদ্ধারে খোঁড়া হচ্ছে সুড়ঙ্গ
প্রকাশিত : ১০:০৫, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:০৭, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের পাইপে আটকে থাকা দুই বছরের শিশু সাজিদকে প্রায় ১৯ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার করা যায়নি। তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার আশা ফায়ার সার্ভিসের।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল দেখা যায় সড়ক খোঁড়া কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। এই কাজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাত থেকে শুরু করে উদ্ধারকর্মীরা।
এর আগে গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক দফা নলকূপের ৩০ ফুট গর্তে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ক্যামেরা নামিয়ে দেখার চেষ্টা করে। কিন্তু ওপর থেকে পড়া মাটি ও খড়ের কারণে শিশুটিকে তারা দেখতে পায়নি। তবে একই দিন দুপুরে শিশুটির কান্নার আওয়াজ শোনা যায়।
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু একটি গর্ত দিয়ে মাটির ৩৫ ফুট গভীরে পড়ে যায় সাজিদ হোসেন নামের ২ বছর বয়সী এক শিশু। তার বাবা নাম রাকিবুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে খেলতে গিয়ে ৪০ ফুট গভীর ও ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গর্তে পড়ে যায় সে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট রাত পর্যন্ত চেষ্টা চালালেও শক্তিশালী এক্সকেভেটর না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়। পরে মোহনপুর থেকে ছোট দুটি এবং গভীর রাতে একটি বড় এক্সকেভেটর এনে মাটি খনন শুরু করে উদ্ধারকর্মীরা।
দুই বছর বয়সী শিশুটির মা রুনা খাতুন জানান, ওই মাঠে ধানগাছের খড় নিতে যাচ্ছিলাম দুই শিশুকে নিয়ে। এক শিশুকে কোল থেকে নামিয়ে দিই। সে আমার পিছনে পিছনে হাঁটছিল। পরে পিছনে তাকিয়ে দেখি ছেলে নেই। এরপর দেখি গর্ভের ভিতর থেকে মা মা করে ডাকছে।
কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ হোসেন জানান, গ্রামের পাশের এ জমিটির মালিক কছির উদ্দিন নামের এক কৃষক। এক বছর আগে কছির উদ্দিন তার জমিতে সেচের জন্য একটি সেমিডিপ নলকূপ বসানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ৩৫ ফুট বোরিং করার পর সেখানে পানি পাননি। তাই নলকূপ বসানো হয়নি। তবে এক বছর ধরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের গর্তটি সেভাবেই পড়ে ছিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের গাফিলতিতেই দেরি হচ্ছে উদ্ধার অভিযান।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস জানায়, আরও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
এএইচ
আরও পড়ুন










