ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

না বুঝেই রাসায়নিক সার প্রয়োগ, কমছে ফলন (ভিডিও)

মফিউর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৯, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

মাটির চাহিদা না বুঝেই প্রয়োগ করা হচ্ছে রাসায়নিক সার। বাড়ছে চাষাবাদের খরচও। রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করেও কাঙ্খিত ফলন পাচ্ছেন না কৃষকরা। রাসায়নিক সার বা মিনারেল প্রয়োগের আগে জমির মাটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

আগের মত আর ফসল হয় না, জমিতে সারের খরচ বাড়ছে, ২-৩ গুন বেশি সার দেয়া লাগতেছে।
 
শেখ ফরিদ গ্রামের খেটে খাওয়া সাধারণ কৃষক। এভাবেই বলছিলেন তার আক্ষেপের কথা। ত্রিশ বছরের বেশি সময় ধরে মাঠে ফসল ফলাচ্ছেন তিনি। ধানের পাশাপাশি বছরব্যাপি নানা সবজি ফলান তিনি। 

প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫ বিঘা জমিতে আবাদ করছেন শাক-সবজিসহ নানা রকমের ফসল। লোক রাখার পাশাপাশি নিজেও নিয়মিত খাটেন গায়ে-গতরে। ফলন কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০-৩০ বছর আগে জমিতে যে খরচে যে পরিমাণ ফসল ফলানো যেতো, এখন আর হচ্ছে না। যদিও খরচ বেড়েছে কয়েকগুন। ফলন কমের পাশাপাশি খরচ বাড়ায় প্রত্যাশিত মুনাফাও হচ্ছে না। 

কৃষক শেখ ফরিদ বলেন, “সার আগে দিতাম ২ ঘাট্টি এখন দিতে হয় ৩ ঘাট্টি। বছর যায় আর মাটির শক্তি আস্তে কমে আসছে।”

১ লাখ ৪৮ হাজার বর্গ কিলোমিটারে এই দেশে ফলে বিভিন্ন রকম ফসল। কৃত্রিম সেচ ব্যবস্থা থাকায় সারা বছরই চাষাবাদ হয়। বিজ্ঞানীরা খরা, বন্যা ও লবণাক্ততা সহনশীল জাত উদ্ভাবন করায় জমি পতিত থাকে না। 

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় কৃষকদের একই অভিযোগ, আগের চেয়ে বেশি পরিমাণে সার ও মিনারেল দিতে হচ্ছে। ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের বালাইনাশক।

কৃষকরা জানান, আগে যেমন জমির উর্বরতা ছিল এখন উর্বরতা শক্তি অনেক কমে গেছে। আগে ফসল বুনতে সার লাগেনি। এখন বস্তা ভরে সার আনতে হয়, লাভ তেমন একটা নাই।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মাটির পুষ্টি-উপাদানে ঘাটতির কারণে চাষীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। 

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, “মাটির পুষ্টি উপাদানে ঘাটতি, জৈব পদার্থ কমে যাচ্ছে। নাইট্রোজেন-ফসফরাস-পটাশিয়ামসহ ৬টি পুষ্টি উপাদানে ঘাটতি কম-বেশি সব জায়গায় আছে।”

ভালো ফলন পেতে মাটির পুষ্টি-উপাদান পরীক্ষা করে সেই অনুযায়ী সার প্রয়োগের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।   

এএইচ


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি