নাটোরে শহীদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ আর গণকবর চত্বরে জবাই করা হয় গবাদি পশু
প্রকাশিত : ১০:৩২, ২১ মার্চ ২০১৭ | আপডেট: ১০:৩২, ২১ মার্চ ২০১৭
নাটোরে শহীদ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ আর গণকবর চত্বরে জবাই করা হয় গবাদি পশু। প্রকৃতিক কাজও সারে অনেকে। কিন্তু দেখার কেই নেই। স্মৃতিস্তম্ভ ও গণকবরগুলোর পবিত্রতা রক্ষায় এখনই উদ্যোগ নেয়ার দাবি শহীদদের পরিবার আর মুক্তিযোদ্ধাদের।
৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনায় নাটোরের গড়ে তোলা হয় প্রতিরোধ। ১১ এপ্রিল ঢাকা থেকে পাকিস্তানী বাহিনীর একটি দলকে বড়াইগ্রামের ধানাইদহ ব্রীজের ওপর প্রতিরোধ করে। কিন্তু হানাদার বাহিনীর ভারি অস্ত্রের গোলা বর্ষণে পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা ।
এই প্রতিরোধ যুদ্ধে শহীদ হন বেশ ক’জন মুক্তিযোদ্ধা। পরে তাদের লাশ ব্রীজের পাশে গণকবর দেওয়া হয়। স্বাধীনতার পর গণকবরটি চিহ্নিত করা হলেও এখনো তা অরক্ষিত।
মুক্তিযুদ্ধের নয়মাস নাটোরের ছাতনী গ্রাম, নর্থবেঙ্গল সুগার মিলে,গুরুদাসপুরের নাড়িবাড়ি, সিংড়ার হাতিয়নদহ ও কলম গ্রাম এবং সদরের ফতেঙ্গাপাড়া ও মোহনপুরে পাকিস্তানী বাহিনী চালায় গণহত্যা।
স্থানীয় বলছেন, প্রতিবছর বিশেষ দিবসে এই গণকবরের শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হলেও রক্ষনাবেক্ষন বা পবিত্রতা রক্ষায় নেই কোন উদ্যোগ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানালেন, শহীদদের স্মৃতি রক্ষায় নানান উদ্যোগের কথা।
গণকবরগুলো পবিত্রতা রক্ষার আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসন।
শহীদদের স্বজন আর মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, পাকিস্তানিদের বর্বরতা আর মুক্তিসেনাদের আত্মত্যাগ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে স্মৃতিস্তম্ভ আর গণকবরগুলোর সংরক্ষনে উদ্যোগ নিতে হবে রাষ্ট্রকে।
আরও পড়ুন