ঢাকা, শুক্রবার   ০৭ নভেম্বর ২০২৫

নানা ভোগান্তিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রত্যাশীরা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫৮, ২০ মার্চ ২০২১

Ekushey Television Ltd.

বিআরটিএ কর্মকর্তাদের গাফিলতি, ফিঙ্গার প্রিন্ট জটিলতাসহ নানা কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবা প্রত্যাশীদের। প্রতিটি স্তরে গুণতে হয় টাকা। না দিলে ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার হতে হয়। আবেদন করা লাখ লাখ লাইসেন্স প্রিন্ট দিতে হবে। কত দিনের মধ্যে তা সম্ভব এর সঠিক উত্তর নেই সংস্থাটির চেয়ারম্যানের কাছেও। 

বিআরটিএ থেকে লাইসেন্স পেতে সরকারি নির্ধারিত ফি ক্যাটাগরি ভেদে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা। অভিযোগ আছে খরচ করতে হয় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।

সেবা প্রত্যাশীরা জানান, দালালের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকার মতো লেগেছে। আপনি টাকা দিবেন কাজ হবে, টাকা দিবেন না কাজ হবে না। 

মিরপুর বিআরটিএ দপ্তরে অবস্থা এমন যে, নির্দিষ্ট কর্মীর বদলে কাগজপত্র আনা-নেয়া করেন আনসার সদস্যরা। কাগজপত্রগুলো কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন তার উত্তর নেই।

সাধারণ নিয়ম আগে আবেদন করলে, আগে সেবা পাবেন। অভিযোগ আছে টাকা না দিলে সেই নিয়ম থাকছেনা। 

লাইসেন্স প্রত্যাশীরা জানান, সিরিয়াল পেছনে, সেইগুলো আগে নিয়ে যেয়ে ঢোকাচ্ছে কিন্তু আমরা ৬ ঘণ্টা ধরে এখানে অপেক্ষা করছি। অন্য আরেকজন জানান, সিরিয়াল যাই থাক না কেন ৫শ’ টাকা দিলে আগে যাওয়া যায়।

বিআরটিএ উত্তরার দিয়াবাড়ি কার্যালয়, এখানেও অভিযোগের শেষ নেই। বছরের পর বছর ঘুরছেন সেবা প্রত্যাশীরা। 

সেবা প্রত্যাশীরা জানান, কাজ করতে দালালের মাধ্যমে, নিজে গেলে কাজ হয় না। যার কাজেই যাই ওনারা বলেন- আমরা কিছু জানি না। এরকম করে ঘুরায়, তাই দালাল ছাড়া কোন কাজ স্বাভাবিকভাবে হয় না।

ভাড়া করা ছোট্ট কার্যালয়। প্রতিদিন হাজার মানুষকে সেবা দেয়া প্রায় অসম্ভব, জানালেন এক কর্মকার্তা। 

দিয়াবাড়ি বিআরটিএ’র ড্রাইভিং লাইসেন্স শাখার সহকারি পরিচালক এস এম মাহফুজুর রশিদ বলেন, আমাদের নিজস্ব ভবনটি হয়ে গেলে আজকে যে সুবিধা থেকে ওনারা বঞ্চিত তার কিছুটা হলেও আমরা লাঘব করতে পারবো।

মিরপুর বিআরটিএ’র ড্রাইভিং পরীক্ষা হয় জোয়ার সাহারা বিআরটিসি বাস ডিপোতে। বিআরটিএ’র কর্মকর্তারা অতিরিক্ত ৩শ’ টাকা ফি নেন, এমন অভিযোগ আছে।

বিআরটিএ’র এক কর্মী জানান, বিআরটিসির মাঠে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে তাই সরকারি রশিদ দিয়ে ৩শ’ টাকা ফি নেয়া হচ্ছে।

বিআরটিএ চেয়ারম্যান মোবাইল ফোনে জানান, নতুন কোম্পানীর সাথে চুক্তি হয়েছে। শিগগির কাজ শুরু হবে, সমস্যাও কমবে। 

বিআরটিএ নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, আমাদের নতুন ভেন্ডার লাইসেন্স দেয়া শুরু করেছে সুতরাং এই সমস্যা আর থাকবে না। 

কত দিনে লাখ লাখ লাইসেন্স দেয়া শেষ করতে পারবেন সে প্রশ্নের উত্তর নেই তার কাছেও। 

বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, যত তাড়াতাড়ি দেওয়া সম্ভব সেভাবেই প্ল্যানিংটা করবো।
দেখুন ভিডিও :

এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি