ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের এনআইডি জালিয়াত দুই কর্মীকে সাময়িক অব্যাহতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:২২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

জাল এনআইডি তৈরি করে ব্যাংক ঋণের সহায়তাকারী নির্বাচন কমিশনের দুই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে প্রকল্প থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের এনআইডি শাখা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান জুনিয়র কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট মো. শফিক।

তিনি বলেন, ‘জাল জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার সবুজবাগ ও গুলশান থানা নির্বাচন অফিসে আউটসোর্স ডেটা এন্ট্রি অপারেটর সিদ্ধার্থ শঙ্কর সূত্রধর ও আনোয়ারুল ইসলামকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়েছে ইসির আইডিইএ প্রকল্প।’

শফিক বলেন, জালিয়াতির এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন এনআইডি শাখার মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে প্রকল্পের এই দুই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে।

এর আগে জাল এনআইডি তৈরি করে ব্যাংক ঋণের সহায়তাকারী নির্বাচন কমিশনের এই দুই ডেটা এন্ট্রি অপারেটরসহ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শনিবার রাজধানীর মিরপুর মডেল থানা এলাকা থেকে জাল, দ্বৈত ও ডুপ্লিকেট জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।  

গ্রেফতারকৃতরা হলো- সিদ্ধার্থ শংকর সূত্রধর (৩২), আনোয়ারুল ইসলাম (২৬), আব্দুল্লাহ আল মামুন (৪২), সুমন পারভেজ (৪০) ও মজিদ (৪২)। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সিদ্ধার্থ শংকর নির্বাচন কমিশনের খিলগাঁও এবং আনোয়ারুল ইসলাম গুলশান অফিসে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করতো। 

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, জালিয়াতি করে যারা ব্যাংক ঋণ নিতো তাদের জন্য এই চক্রটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দিতো। প্রত্যেকটি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা করে নিতো তারা। এখন পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫টি জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে বানিয়েছিল তারা। এর মধ্যে কিছু জাতীয় পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, সম্প্রতি একই ব্যক্তির দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পলাতক থাকার বেশ কয়েকটি ঘটনা আলোচনায় আসে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একটি দল অনুসন্ধান শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চিড়িয়াখানা রোডের ডি ব্লক এলাকায় থেকে চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সিদ্ধার্থ ও আনোয়ারুল নির্বাচন কমিশনে আউটসোর্সিয়ের মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে কাজ করতো। সুমন ও মজিদ হলো দালাল। আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজের নামে একটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে দুই ব্যাংক থেকে প্রায় বিশ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। সর্বশেষ স্ত্রীর নামে আরেকটি জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি