নির্বাচনের আগের রাতে বিজেপি নেতা খুন
প্রকাশিত : ১৩:৪৬, ১২ মে ২০১৯
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে চলছে ষষ্ঠ দফার ভোটগ্রহণ। সাত দফায় হচ্ছে দেশটির এ জাতীয় নির্বাচন।
পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লিসহ সাতটি রাজ্যের ৫৯টি আসনে আজ ভোট হচ্ছে। প্রার্থীদের মধ্যে আছেন বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট।
তালিকার শুরুতেই রয়েছেন- সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী, মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী দ্বিগবিজয় সিং, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের শিশির অধিকারী থেকে শুরু করে অভিনেতা দেবসহ আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট প্রার্থীর ভাগ্য পরীক্ষা হচ্ছে আজকের নির্বাচনে।
এদিকে ভোটের আগে শনিবার গভীর রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের বিজেপির বুথ সভাপতি রামিন সিংহ নিহত হয়েছেন।
বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের আশ্রিত সন্ত্রাসীরাই তাকে খুন করেছে। যদিও তৃণমূল এ অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে।
ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের ১৪টি আসন, হরিয়ানা ১০, মধ্যপ্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের ৮টি করে আসনে ভোট হচ্ছে আজ।
পাশাপাশি দিল্লির সাতটি লোকসভা কেন্দ্র এবং ঝাড়খণ্ডের চারটি লোকসভা কেন্দ্রেও ভোট নেয়া হচ্ছে। এ দফায় মোট প্রার্থী সংখ্যা ৯৭৯। প্রায় এক লাখ নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে রোববার।
এই ষষ্ঠ দফার নির্বাচনে বিজেপির কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত নির্বাচনে এর মধ্যে ৪৫টি আসনেই জিতেছিল বিজেপি। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গে যে কয়েকটি আসনে ভোট হচ্ছে তার প্রত্যেকটিতে গতবার জিতেছিলেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
গত নির্বাচনে এই দফায় বিজেপির ফল সবচেয়ে ভালো হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ। ১৪টি আসনের মধ্যে ১৩টিতেই জিতে ছিলেন বিজেপি প্রার্থীরা।
বিরোধীদের মধ্যে শুধু সমাজবাদী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুলায়ম সিং যাদব জিতেছিলেন আজমগড় আসন থেকে।
পরে অবশ্য ফুলপুর ও গোরখপুর কেন্দ্রে লোকসভার উপনির্বাচন হয়। তাতে বিজেপির পরাজয় হয়। ওই দুটি আসনে জয় বিরোধীদের নতুন করে অক্সিজেন জুগিয়েছিল। আর তখন থেকেই দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে বিরোধী জোটের সূচনা হয়।
১৯ মে শেষ পর্বের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ভারতের জাতীয় নির্বাচন।
আই//
আরও পড়ুন