ঢাকা, বুধবার   ১৫ মে ২০২৪

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশের মজুদ ও পরিবহন করায় ৬ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৭:১৩, ৭ অক্টোবর ২০২২ | আপডেট: ১৭:১৪, ৭ অক্টোবর ২০২২

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ মজুদ ও পরিবহনের অপরাধে নোয়াখালীর হাতিয়া ও সদর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৬ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় প্রায় ৩ মণ মাছ জব্দ করে পরবর্তীতে বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করে দেওয়া হয়।

শুক্রবার অভিযানের প্রথম দিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথকস্থানে এসব অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সহযোগিতা করেন স্ব-স্ব উপজেলা মৎস্য অফিস।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে হাতিয়ার নলচিরা ঘাট হয়ে পূর্বে মজুদকৃত ৩৫ কেজি ইলিশ মাছ ট্রলারযোগে অন্যত্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এমন খবর পেয়ে ওই ঘাটে অভিযান চালায় নলচিরা নৌ-পুলিশের একটি দল। এসময় ট্রলারে উঠানোর সময় ৩৫ কেজি মাছসহ ৪ জনকে আটক করা হয়।পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আটককৃতদের ৫হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও জব্দকৃত মাছগুলো স্থানীয় ইতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

অপরদিকে, শুক্রবার সকালে জেলার সদর উপজেলার মাইজদী পৌর বাজার ও সোনাপুর বাজারে অভিযান চালায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. বায়েজীদ বিন আখন্দ। এসময় দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ২ মণ ইলিশ মাছ জব্দ করে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ মাছ মজুদ রাখায় একজনকে দুই হাজার ও অপর ব্যবসায়ীকে পনেরশ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বলেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে। আইন লঙ্গনকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।

উল্লেখ্য, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের বংশ বৃদ্ধিতে সহায়তার লক্ষে সরকার ঘোষণা অনুযায়ি ৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা চলবে আগামি ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি