ঢাকা, রবিবার   ১৯ মে ২০২৪

পাট রফতানিতে চট্রগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভর ব্যবসায়ীরা, পিছিয়ে পড়ছে মংলা বন্দর

প্রকাশিত : ১৩:১৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৩:১৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

খুলনা অঞ্চল থেকে বছরে রফতানী হয় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার কাচা পাট। কিন্তু কন্টেইনারের বাড়তি ভাড়ার কারণে মংলা বন্দর দিয়ে পাট রফতানি করতে পারছেনা এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। ফলে পাট রফতানিতে এখনো চট্রগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে পাট ব্যবসায়ীদের। আর তাই আঞ্চলিক অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়ছে মংলা বন্দর। আমদানি রফতানি বানিজ্যে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছে দেশের বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মংলা। বিভাগীয় শহর খুলনা থেকে সড়কপথে ৪৮ কিলোমিটার, নদীপথে গেলে তা দাড়ায় ৫২ কিলোমিটার। কিন্তু এতো কাছে হলেও খুলনা অঞ্চলের পাট ব্যবসায়ীদের কাছে বন্দরের নোঙ্গর যেন বহু দূরে। জটিলতা শুরু ২০০৮ সালে, পাট রফতানির ক্ষেত্রে সে বছরই প্রথম বাধ্যতামূলক করা হয় কন্টেইনার ব্যবহার। তখন থেকেই মংলায় আসা জাহাজগুলোর উচ্চহারের কন্টেইনার ভাড়ার কারনে অনীহা সৃষ্টি হয় ব্যবসায়ীদের। বিকল্প হিসেবে খুলনা থেকে ট্রাকে করে পাট চট্রগ্রাম বন্দরে পাঠানোর পথ বেছে নেন তারা। এর ফলে যেমন নষ্ট হচ্ছে সময়, যাচ্ছে অর্থ আর এই রফতানি প্রক্রিয়া হয়ে পড়ছে চট্টগ্রাম বন্দর নির্ভর। দেশের কাঁচা পাটের ৭০ ভাগই রফতানি হয়ে থাকে খুলনাঞ্চল থেকে। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এই বাজার নিয়ন্ত্রন করে এ অঞ্চলের ৩৩ টি সরকারি বেসরকারি পাটকল আর শতাধিক রফতানিকারক। তাই দ্রুত বন্দরটির সুফল নিতে চাইছে সংশ্লিষ্টরা।
Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি