পুরান ঢাকার ঐতিহ্য নিয়ে আর্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত : ১১:৪২, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যকে শিল্পের ভাষায় তুলে ধরতে থ্রিডি আর্টগ্যালারির উদ্যোগে এক দিনের আর্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর্টপিক্স লিমিটেডের সহযোগিতায় আয়োজিত এ ক্যাম্পে অংশ নেন ১২ জন চিত্রশিল্পী।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে এ আয়োজন।
আয়োজকরা জানান, এই আর্ট ক্যাম্পের উদ্দেশ্য শুধু যে শিল্প-ঐতিহ্যকে প্রকাশ করা তা নয়, এটাকে সংরক্ষণ করা। এর মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া বা বিলুপ্ত প্রায় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা।
এছাড়া জাতীয় ঐতিহ্যকে গভীরভাবে অনুভব করা এবং পুরান ঢাকার স্থাপত্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পরিবেশকে নতুনভাবে উপস্থাপন করা। অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আবহকে কেন্দ্র করে সরাসরি পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিত্রাঙ্কনে অংশ নেন—যেখানে স্থাপত্যের নান্দনিকতা, মানুষের জীবনযাপন ও সময়ের গল্প উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট শিল্পী রশিদ আমিন। তিনি বলেন, ‘পুরান ঢাকার মতো ঐতিহ্যসমৃদ্ধ জায়গাকে নিয়ে সরাসরি পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিত্রাঙ্কন শিল্পীদের কাজকে আরও বাস্তব ও গভীর করে।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পপ্রেমিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রেইভেন হাসান। তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্য আমাদের পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিল্পের মাধ্যমে সেই ঐতিহ্যকে মানুষের কাছে আরও জীবন্ত করে তোলার উদ্যোগটি প্রশংসনীয়।’
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানুর রহমান বলেন, ‘পুরান ঢাকার ঐতিহ্য শুধু অতীত নয়—এটি আমাদের চলমান সংস্কৃতি। শিল্পচর্চার মাধ্যমে সেই ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে আরও অর্থবহ করে তুলতে আমরা নিয়মিত এমন আয়োজন চালিয়ে যেতে চাই।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুজানা মোস্তফা (একজন শিল্পপ্রেমী)। তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যকে শিল্পের মাধ্যমে উদযাপন করার এই আয়োজন দর্শনার্থীদের মধ্যেও আগ্রহ তৈরি করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
অংশগ্রহণকারী শিল্পীরাও এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখেছেন। তাদের ভাষ্য, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যকে কাছ থেকে দেখে আঁকার অভিজ্ঞতা ছিল আনন্দের ও অনুপ্রেরণাদায়ী। অনেক শিল্পীই বলেন, এমন আয়োজন শিল্পচর্চার পাশাপাশি ইতিহাসকে নতুনভাবে অনুভব করার সুযোগ করে দেয়।
আয়োজকদের ভাষ্য, এ ধরনের উদ্যোগ পুরান ঢাকার ঐতিহ্যকে নতুনভাবে দেখার সুযোগ তৈরি করবে এবং শিল্প-সংস্কৃতির মাধ্যমে মানুষের মধ্যে ঐতিহ্য-সচেতনতা আরও বাড়াবে।
এএইচ
আরও পড়ুন










