প্রধান বিচারপতির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
প্রকাশিত : ২০:৫০, ১৪ আগস্ট ২০২৫

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে প্রধান বিচারপতির হেয়ার রোডের বাসভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এই সাক্ষাতের বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দিয়েছেন।
এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। এসময় তারা পারস্পারিক কুশলাদি বিনিময় করেন। সাক্ষাতকালে তারা দ্বিপক্ষীয় বিচারিক সহযোগিতা, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং আইনের শাসনসংক্রান্ত বিষয়াবলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এসময় প্রধান বিচারপতি বিগত এক বছরে বাংলাদেশের বিচারবিভাগের উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরেন। বিশেষ করে একটি স্বাধীন, শক্তিশালী ও ন্যায়বিচার ভিত্তিক বিচারবিভাগ প্রতিষ্ঠায় প্রধান বিচারপতি পরিকল্পনাগুলো আলোচনা করেন। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার সংরক্ষণে বিচার বিভাগের ভূমিকা নিয়েও আলোচনা করেন।
মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত প্রধান বিচারপতি হিসেবে প্রধান বিচারপতির এক বছর পূর্তিতে তাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের বিচারবিভাগের উন্নয়নে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপসমহের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষ করে, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক একটি শক্তিশালী, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিচারবিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা, বিচার সেবা প্রদানে স্বচ্ছতা আনয়নে ১২ দফা নির্দেশনা প্রদান, মামলায় বিবাদী পক্ষকে লিগ্যাল এইড প্রদানে ক্যাপাসিটি টেস্ট চালু, সুপ্রীম জুডিসিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ আইন প্রণয়ন, বিচারপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্ট হেল্পলাইন চালু এবং অধস্তন আদালতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলোকে কার্যকরী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।
সাক্ষাৎকালে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতির বলিষ্ঠ নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় তার দেশ সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করবে মর্মে ব্যক্ত করেন।’
এসএস//
আরও পড়ুন