ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০১, ১১ এপ্রিল ২০১৮

কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চান আন্দোলনকারীরা। কতভাগ কোটা কমানো হবে—এরও সুনির্দিষ্ট ঘোষণা চান তাঁরা। এ ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার না করার ঘোষণা দিয়েছে কোটা সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সেই সঙ্গে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেত্রী  ইফফাত জাহান এশাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিস্কারের আদেশ ২৪  ঘন্টার মধ্যে কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১২ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ও কোটা কমানোর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন এবং সড়ক অবরোধের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোটা সংস্কারে  প্রধানমন্ত্রীকে ঘোষণা দিতে হবে যে তাদের এই দাবির ব্যাপারে কি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। এটা না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। তারা ঘোষণা করেন, ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট এবং ক্লাস বর্জন চলবে। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসগুলোতে লাগাতার অবস্থান এবং অবরোধ পালন করা হবে।
লিখিত বক্তব্যে রাশেদ খান বলেন, সরকারের একেক ব্যক্তির একক ধরনের বক্তব্য আমরা গ্রহণযোগ্য মনে করি না। তিনি বলেন, যারা ভিসি স্যারের বাসায় হামলা চালিয়েছে ও আগুন দিয়েছে তারা সুবিধাভোগী ও অনুপ্রবেশকারী। আমরা তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রাশেদ খান বলেন, যারা আমাদের আন্দোলনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবে, তাদের আপনার ধরিয়ে দিন। এদের সম্পর্কে সচেতন হোন।
সংবাদ সম্মেলনে  সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মানুন বলেন, সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি আমার বোনের উপর য়ে নির্যাতন করছে তা মধ্যযুগের বর্বরতাকেও হার মানান। হামলার তীব্র  নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে আন্দোলন বন্ধ করতে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলছি।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে আন্দোলনে না আসার জন্য যে হামলা চালানো হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। বাধাদানকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কারেরও দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শাহবাগ মোড় প্রদক্ষিন করে  টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারীরা।
/এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি