ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫

প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন নিয়ে শঙ্কা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০০, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আশ্বাসের পরও ‘প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে’ সাংবাদিকদের উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার ধারাগুলোর সংশোধন হয়নি। এতে, স্বাধীন গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হবে। এমন-ই শঙ্কা সম্পাদক পরিষদ, বিএফইউজে ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের। এর ফলে, গণমাধ্যম ও গণতন্ত্রের প্রসারে প্রায় সবগুলো অর্জনই আবারো হোঁচট খাবে বলে মনে করেন তারা।

বহুল আলোচিত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ এরিমধ্যে সংসদে উপস্থাপিত হবার পর, বিলটি পাসের আনুষ্ঠানিকতার অপেক্ষা মাত্র।

হতাশার কথা, কমিটি নামমাত্র কিছু সংজ্ঞা স্পষ্টকরণ, সাজা কমানো ও ব্যাকরণগত সংশোধন এনেছে এতে। উপেক্ষিত থেকেছে, বিভিন্ন সময়ে আপত্তি জানানো ধারাগুলো।

‘তথ্য অধিকার আইন’ এই বিলে অন্তর্ভুক্ত করে বিতর্ক বাড়িয়েছে। এখানে, ঔপনিবেশিক আমলের ১৯২৩ সালের অব্যবহৃত ও আস্তাকুড়ে থাকা ‘অফিশিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট’ জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে।

অপরাধ সংগঠিত হতে পারে মনে করেই, পুলিশ পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের ক্ষমতার বিধান বিতর্ক বাড়িয়েছে, আইনের ৪৩ ধারা। মহাপরিচালকের অনুমতির বিধান শুধুমাত্র দাফতরিক প্রক্রিয়া মাত্র।

বিলের ২১ ধারায় ডিজিটাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা, জাতীয় সঙ্গীত বা পতাকার বিরুদ্ধে অপ-প্রচারে ১০ বছরের কারাদন্ড বা এক কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডের বিধান এখনও আছে।

২৮ ধারায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে, সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদন্ড বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

সব ক্ষেত্রেই, অপরাধগুলো জামিন অযোগ্য। গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের বিতর্কিত ৫৭ ধারা নতুন আঙ্গিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।

সাংবাদিক নেতারা বলছেন, আইনটি পাস হলে সংবাদমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে।

এর পরেও চলতি সংসদের আরেকটি অধিবেশন রয়েছে। তাই, বৃহত্তর স্বার্থে তড়িঘড়ি না করে অংশী-জনদের মতামত আমলে নিয়ে বিলটি পাসের দাবি জানিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি