ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪

প্রিয়াংকা গান্ধী আটক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৮, ১৯ জুলাই ২০১৯

এলোপাতাড়ি গুলি করে নিরীহ উপজাতীয়দের হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আটক হয়েছেন  ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী।

শুক্রবার সোনভদ্রে যাওয়ার আগেই মির্জাপুরের কাছে তাকে আটক করা হয়। 

উত্তর প্রদেশের সোনভান্দ্র জেলার যে গ্রামটিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেখানে যাওয়ার পথে প্রথমে তাকে থামিয়ে দেয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গেলে সরকারি গাড়িতে করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত বুধবার এই উত্তরপ্রদেশের এই গ্রামে জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। আহত হন অনেক‌ে। এ দিন সকালে বারাণসীতে যান প্রিয়াংকা। সেখানে সোনভদ্রের ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন।

তারপর তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ওই গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গ্রামে কোনও রকম জটলা করা যাবে না এই নির্দেশিকা আগেই জারি করেছিল প্রশাসন। প্রিয়াংকা যেতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

কেন তাঁকে বাধা দেওয়া হল এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রিয়াংকা। 

এ বিষয়ে তিনি বলেন, “পীড়িত পরবিবারগুলোর সঙ্গে শুধু দেখা করতে চেয়েছিলাম। আমার ছেলের বয়সী একটি ছেলে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে।” 

প্রিয়াংকা বলেন, কোন আইনের ভিত্তিতে আমাকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না? এ বিষয়ে নির্দেশিকা দেখতে চায় আমি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলেও যোগী আদিত্যনাথের সরকারকেও তীব্র আক্রমণ করেন প্রিয়াংকা। 

তিনি বলেন, “বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে অপরাধীদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে। দিনেদুপুরে হত্যা করছে। আর এটা ঘটেই চলেছে। সোনভদ্রের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ রকম নৈরাজ্য দেখেও প্রশাসন ও মুখ্যমন্ত্রী ঘুমোচ্ছেন। এটা কি রাজ্যকে অপরাধমুক্ত করার নমুনা?”

যদিও রাজ্যে মাফিয়ারাজের জন্য কংগ্রেসকেই পাল্টা দায়ী করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, “কংগ্রেস সরকারই মাফিয়াদের রক্ষা করত। সোনভদ্রের ঘটনা তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।”
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি