ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেই ছাত্রলীগকে এগিয়ে যেতে হবে’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৪, ৩১ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ২৩:২৮, ৩১ আগস্ট ২০১৮

সকল মোহ ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করেই ছাত্রলীগকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ দেশের যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জাতির পিতার আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করলে দেশের সেবা করতে পারবে। নচেৎ হারিয়ে যাবে।  

আজ শুক্রবার গণভবনে ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।  

ছাত্রলীগকে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি আদর্শিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে ছাত্রলীগকে। আদর্শের এই পতাকা ধারণের মাধ্যমেই দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু পাওয়ার মধ্যে তৃপ্তি আসে না। মানুষকে দেওয়ার মধ্য দিয়েই প্রকৃত তৃপ্তি। নিজে কতটুকু সুবিধা পেলাম এটা বড় কথা নয়। মানুষকে কি দিতে পারলাম সেটাই বড় কথা। মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া শিখতে হবে। ধন সম্পদ অনেক সময় থাকে না। কিন্তু শিক্ষা কেউ নিতে পারে না। এই সম্পদ কেউ চুরি এবং হাইজ্যাক করে নিতে পারে না।’

তিনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শিক্ষার আলো জেলে, প্রগতির পথ ধরে, মশাল জেলে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা তো একদিন চলে যাব। তোমাদেরই এই দেশ পরিচালনা করতে হবে। তোমরাই হবে এ দেশের ভবিষ্যৎ। আদর্শের পতাকা সমুন্নত রেখে সামনের দিকে সেবার মন মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।,

বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন দিয়ে এদেশের মানুষকে ভালোবেসে গেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সন্তান হিসেবে বাবার ভালোবাসা যতটুকু না পেয়েছি তার চেয়ে বেশি ভালোবাসা পেয়েছে এ দেশের মানুষ। তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় কেটেছে কারাগারে। কিন্তু তিনি (বঙ্গবন্ধু) বাংলার মানুষের ভাগ্যের সঙ্গে আপোষ করেননি।

পাকিস্তানিরা প্রতিশোধ নিতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। আমাদের দেশের কুলাঙ্গার রাজাকাররা তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে গেছে। যারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করতো না তারাই ১৫ আগস্টের জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলতুন্নেসার অবদানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মা মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ছিলেন। অথচ তার মধ্যে কোনো অহংকার ছিল না। তিনি কখনও রাষ্ট্রীয় ভবনে বাস করেননি। তিনি শান-শওকত চাননি। আমার মা সব সময় আবার বাবাকে পরামর্শ দিতেন, পাশে থেকেছেন যেকোনো সংকটে।

রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো কিছু পাওয়ার আশা করা রাজনীতির আদর্শ নয়। কী পেলাম, কতটুকু পেলাম এসব হিসেব করে রাজনীতি করলে রাজনীতির আদর্শ নষ্ট হয়ে যায়। জনগণকে কী দিলাম কতটুক উপকার করতে পারলাম এটাই রাজনীতিবিদদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত।’

নীতির প্রশ্নে আপসহীন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার স্কুল জীবনে আইয়ুব খান সম্পর্কে আমাদের ২০ নম্বর ছিল। পরীক্ষায় আমি সেই ২০ নম্বর বাদ দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে এসেছি, কখনও ২০ নম্বরের উত্তর লিখিনি। ওই ২০ নম্বরের জন্য আমি ফেলও করতে পারতাম। কিন্তু আমি আমার নীতিকে বিসর্জন দেইনি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। সেই ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার করেই ষড়যন্ত্রকারীরা শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা রকম উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছিল। ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে ভিন্নপথে নেওয়ার চেষ্টাও করেছিল। এগুলোর মাধ্যমে তারা ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয় দিয়েছে। সেদিন এসব উসকানিতে শিশুদের অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারতো।’

কেআই/এসি  

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি