ঢাকা, সোমবার   ০৬ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর খুনি নূরকে ফেরাতে অনলাইন পিটিশন শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৫৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ডাক,টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন,নূর চৌধুরীরা জাতির পিতা ও তার পরিবারকেই হত্যা করেনি, বাংলাদেশকেম হত্যা করেছিলো। এ হত্যাকান্ড ছিলো পাকিস্তানের পরাজিত শক্রদের প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূরকে কানাডা থেকে ফেরৎ পাঠানোর জন্য কানাডা সরকারের কাছে অন-লাইন আবেদনে মুক্তিযুদ্বের স্বপক্ষের শক্তিকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনি নিজে সম্পৃক্ত হোন অন্যদেরকেও সম্পৃক্ত করুন।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন( আইইবি) মিলনায়তনে ‘গৌরব একাত্তরের’ সহযোগিতায় আইইবি’র কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আলোচনা সভা এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী বরাবর অনলাইনে স্বাক্ষরগ্রহণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের মহাকালের মহানায়ক উল্লেখ করে বলেন, বাঙালি জাতিসত্বার সবকটি উপাদান বঙ্গবন্ধুর মধ্যে বিদ্যমান ছিল। ‘ আমি বাঙালি, আমি মানুষ, আমি মুসলমান’ বঙ্গবন্ধুর এই উক্তির মধ্যে তিনি তার পরিচিতি তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা যায়নি, যাবেনা। তার
ঐতিহাসিক উক্তি ‘দাবায়ে রাখতে পারবানা’ সত্যে পরিণত। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানের দ্বারপ্রান্তে। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। গত দশ বছরের বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করার বাংলাদেশে উন্নীত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেন্স ইউনিয়নের সদস্যপদ অর্জন এবং ১৯৭৫ সালের ১৪জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ একুশ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন সাধারণের নাগালে পৌছে দিয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্থাপিত ভিত্তিকে সুসংহত করেন। গত পৌনে দশবছরে তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ ডিজিটাল দুনিয়ায় নেতৃত্বকারী দেশে নিজের অবস্থান সুসংহত করেছে। ২০০৮ সালে দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল সোয়া চার লাখ।

২০১৮ সালের আগস্ট পর্যন্ত তা সাড়ে পনের কোটিতে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশে মাত্র৭.৫০ জিবিপিএস ব্যান্ডউডথ ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে ৮০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউডথ ব্যবহৃত হচ্ছে। অতীতে তিনটি শিল্প বিপ্লবের কোনটিতেই বাংলাদেশ অংশ নিতে পারেনি। তা সত্ত্বেও ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের এগিয়ে আসতে হবে। চলমান অগ্রগতির অগ্রযাত্রা বেগবান করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। অন-লাইন মিডিয়ায় মহল বিশেষের অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে উন্নয়নের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকলকে অনলাইনে সক্রিয় হতে হবে, অন্যদেরও সক্রিয় করতে হবে। গুজব ও মিথ্যাচারের জবাব দিতে হবে।

এমজে/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি