ঢাকা, শনিবার   ১৯ জুলাই ২০২৫

‘বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:০৮, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনের মূল বিষয় ছিল দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানো ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। আসাদুজ্জামান নূর জাতীয় জাদুঘরে কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু কীভাবে আমাদের স্বাধীনতা এনেছেন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শূন্য হাতে দেশ গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। গুদামে খাবার ছিল না, ব্যাংকে টাকা ছিল না, যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো ছিল না। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি সব কিছুকেই গড়ে তুলেছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদশে জাতীয় জাদুঘর র্বোড অব ট্রাস্টির সভাপতি শিল্পী হাসেম খান।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসির উদ্দিন আহেমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদশে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক আবদুল মান্নান বিশ্বাস।

সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ  মুজিবুর রহমান হঠাৎ করে বাঙালির আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে উঠেননি। দীর্ঘ চব্বিশ বছর তার কঠোর সংগ্রাম করতে হয়েছে স্বাধীনতা লাভের জন্য। তাঁর নেতৃত্বের কারিশমার ফলেই মাত্র নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু এর জন্য বাঙালি জাতিকে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘকাল আন্দোলন করতে হয়েছে।

মুনতাসীর মামুন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস।১৯৪৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তাঁর প্রতিটি বছর আমাদের ইতিহাসের মাইলফলক এবং প্রতিটির সঙ্গে তিনি জড়িত। অনেকের ধারণা ১৯৬৬-১৯৭০ সময়কালের মধ্যে বাংলাদেশের সমস্থ আন্দোলন হয়েছে। আসলে সেটা ১৯৪৮ সাল  থেকেই বাংলাদেশ স্বাধীন করার সংগ্রাম শুরু করেন বঙ্গবন্ধু ।

নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ  ‘ প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড’ হবে বলে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তিনি জীবিত  থাকলে তা এতদিনে বাস্তবায়ন হতো। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে ৮ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিলো, যা এখন পর্যন্ত আর কখনও হয়নি।

শিল্পী হাসেম খান নতুন প্রজন্মের সন্তানদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন পাঠ করার আহবান জানিয়ে বলেন, স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর মতো এত ত্যাগ শিকার বিশ্বের আর কোন নেতা করেননি। এ কারণেই বিশ্ববাসী বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ মানুষের নেতা, শ্রমজীবী মানুষের নেতা হিসেবে জানেন। তাঁর জীবন ও আন্দোলনের ইতিহাস সকল বয়সের মানুষেরই জানা প্রয়োজন।(সূত্রঃ বাসস)

কেআই/ এমজে

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি