ঢাকা, রবিবার   ১৩ জুলাই ২০২৫

‘বঙ্গমাতা ছিলেন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রতীক’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৪৯, ৮ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৯:৫০, ৮ আগস্ট ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের নেপথ্যে থেকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অসামান্য অবদান রেখেছেন। ইতিহাসে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কোন পদ পদবীর অধিকারী না হয়েও বঙ্গমাতা ছিলেন নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের এক অনন্য প্রতীক। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ কথা বলেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। 

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি।  বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম। 

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, এক অসামান্য আত্মপ্রত্যয়, দৃঢ় মনোবল, সাহস এবং অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন বঙ্গমাতা। এসময় তিনি বঙ্গমাতার জীবনের আদর্শ থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার ক্ষেত্রে মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনন্য সাধারণ ভূমিকা ছিল। তিনি দুঃসময়ে বঙ্গবন্ধুকে প্রেরণা যুগিয়েছেন, দুঃসময়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করেন, নেতাকর্মীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন। 

বঙ্গবন্ধু বারবার গ্রেফতার হয়েছেন, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। কিন্তু বঙ্গমাতা ভেঙে পড়েননি, শক্ত হাতে পরিবারের হাল ধরেছেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে প্যারোলে মুক্তি নিয়ে পাক সামরিক সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসতে নিষেধ করে বাংলার স্বাধীনতার পথ খুলে দিয়েছিলেন বঙ্গমাতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার এই দূরদর্শী চিন্তা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

তিনি আরও বলেন, বঙ্গমাতার উৎসাহে বঙ্গবন্ধু কারাগারে আত্মজীবনী লিখেন। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, 'কারাগারের রোজনামচা’ স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক অজানা ইতিহাসের সম্ভার। এই আত্মজীবনী সংরক্ষণে বঙ্গমাতার ভূমিকা ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালরাতে জাতির পিতার সঙ্গে বুলেটের নির্মম আঘাতে জীবন দিতে হয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে, মরণেও তিনি স্বামীর সহযাত্রী হয়েছেন। 

তিনি বলেন, এই মহীয়সী নারী ছিলেন প্রচারবিমুখ। পর্দার অন্তরালে থেকে দেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামে নিরন্তর প্রেরণা যুগিয়েছেন। তার ত্যাগ, দেশপ্রেম ও আদর্শ অনন্তকাল আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

পরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের উপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

আরকে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি