ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

বনানীর আগুন কেড়ে নিলো ফারুক-তানহার হাসি

প্রকাশিত : ২২:২৪, ২৮ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ২২:৩২, ২৮ মার্চ ২০১৯

পিতা-মাতার সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক মধুর হয়। বিশেষ করে ছোট শিশুদের সঙ্গে পিতা-মাতার যে সম্পর্ক তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তেমনি একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে ইতোমধ্যে। বাবার কোলে বসে মিষ্টি হাসি হাসছে ছোট্ট মানহা। বাবাও কন্যাকে জড়িয়ে ধরে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে হাসছেন প্রশান্তির হাসি। এমনই একটি ছবি দেখা গেছে রাজধানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত আব্দুল্লাহ আল ফারুক তমালের ফেসবুক একাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে।

ছোট্ট মানহা হয়তো এখনও জানে না আগুন কেড়ে নিয়েছে তার বাবার প্রাণ, বাবার এই হাসি আর কোনোদিন দেখতে পারবে না ছোট্ট এই শিশু।

বনানীর এফআর টাওয়ারের ১২ তলায় ইইউআর সার্ভিস বিডি লিমিটেডের অফিস। ওই অফিসেই সেলস ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন আব্দুল্লাহ আল ফারুক। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালেও বাড়ি থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুপুর পৌনে ১টায় হঠাৎ করেই আগুন লাগে ২১তলা ভবনটিতে। আগুন লাগার পর ফারুক আর ভবন থেকে বের হতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফারুকের লাশ শনাক্ত করেন তার বন্ধু ও পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম রাজু। তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ আল ফারুক আমার খুব ভালো বন্ধু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা এক সঙ্গে পড়াশোনা করেছি। ক্যাম্পাসে তমাল নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন ফারুক। পড়াশোনার বাইরেও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তার অংশগ্রহণ ছিল।

ফারুকের এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়ের নাম মানহা, সে প্রথম শ্রেণিতে পরে। নিহত ফারুকের পকেট থেকে তিনটি আইডি কার্ড পাওয়া গেছে। আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী, তিনি ১৯৮৮ সালের ১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ মকবুল আহমেদ এবং মায়ের নাম জান্নাতুল ফেরদৌস।

ফারুকের মৃত্যু সংবাদ শুনে হাসপাতালে ছুটে আসেন বড় ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন তুহিন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভাইয়ের দগ্ধ মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি