বরফের নিচে তিন ঘণ্টা বসে গিনেসে নাম তুললেন!
প্রকাশিত : ১৪:০৭, ৭ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৪:০৯, ৭ মার্চ ২০২২

বরফের দেশে ঘুরতে যেতে অনেকেই পছন্দ করেন, তবে বরফের ঝাঁঝ হতে বাঁচার জন্য প্রতিরোধ ব্যবস্থাও নিয়ে যান সবাই। অর্থাৎ শীতের পোশাক। কিন্তু এও কি সম্ভব খালি গায়ে তিন ঘণ্টা কাঁচের বাক্সে সোয়েটার ছাড়া বরফের মধ্যে বসে থাকা?
হ্যাঁ, তা এখন সম্ভব বলেই মনে হচ্ছে। কারণ সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটেছে লিথুয়ানিয়ার উইলনো শহরে। এক যুবক মাত্র ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়, ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির মধ্যে এই কাজ করেছে!
আর এমন ঘটনা জানতে পেরে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। নেটিজেনদের মুখে মুখে এখন ঘুরছে এমন আজব ঘটনার কথা।
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তোলার জন্যই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন পোল্যন্ডের নাগরিক ভালের্যাএন রোমানোভস্কি।
একটানা ২০৮ মিনিট তিনি কাটিয়েছেন বরফের মধ্যে। বরফের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। গিনেসের নিয়মানুসারে এই তিন ঘন্টা ২৮ মিনিট ধরে তার দেহ সম্পূর্ণভাবে বরফের সংস্পর্শে ছিল। এর আগে একটানা বরফের মধ্যে থাকার গিনেস রেকর্ড ছিল ফ্রান্সের রোমেন ভান্দেনডর্পের দখলে। তিনি বরফের মধ্যে ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট ধরে ছিলেন।
নতুন রেকর্ড গড়ে এই কীর্তিমান জানান, “এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমি গত ৬ মাস ধরে ট্রেনিং করেছি। তবেই এই সাফল্য এসেছে।”
গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৬৫ মিনিট বরফের মধ্যে কাটানোর পরে রোমানোভস্কি কাঁপতে শুরু করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাল না ছেড়ে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই চালিয়ে যান তিনি। বরফের মধ্যে থাকাকালীন পুরো সময়টাই তার শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছিল। অবস্থা সেরকম খারাপ হলে তাকে বের করে আনা হত।
তবে শেষ পর্যন্ত কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। নতুন রেকর্ড গড়ে যারপরনাই খুশি রোমানোভস্কি। অনেক দিন ধরেই তিনি ঠান্ডা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডটি ভাঙার।
এ বিষয়ে তিনি আরো জানিয়েছেন,”আমি বেশ কয়েক বার ট্রেনিং করি। তখনই বুঝতে পারি যে এই রেকর্ডটা ভাঙা অসাধ্য নয়।”
নিজের শরীর প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন,”আমি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আমার শরীরকে বিশ্লেষণ করে থাকি। আমরা যা অনুমান করি আমাদের শরীর ও মন তার থেকে অনেক বেশি ক্ষমতা ধরে।”
এর আগেও তিনি গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম তুলেছেন। সেই রেকর্ড ছিল বিপদসংকুল রাস্তায় সর্বাধিক দূরত্ব সাইকেলে পাড়ি দেওয়ার।
এবার প্রশ্ন উঠেছে কেন এই ধরনের দুঃসাহসিক কাজ করেন তিনি?
উত্তরে ভালের্যা ন বলেন, “আমার শরীর, মন নিয়ে কাজ করতে খুব ভাল লাগে। এতে আমার মন প্রশান্তিতে ভরে যায়। বরফের রেকর্ড হোক বা সাইকেল চালানোর রেকর্ড, সব ক্ষেত্রেই সমান ভাবে প্রস্তুতি নিই।”
সূত্রঃ সংবাদ প্রতিদিন
আরএমএ
আরও পড়ুন