ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বরিস জনসনের পূর্বপুরুষ ছিলেন তুর্কি মুসলিম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৮, ২৪ জুলাই ২০১৯

ব্রিটেনের চমকপ্রদ এবং সুপরিচিত একজন ব্যক্তিত্ব বরিস জনসন। যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ বুধবার শপথ নিচ্ছেন তিনি। স্থানীয় সময় বিকালে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেবেন তিনি। এরপরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন।

বরিস জনসন একসময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। একইসঙ্গে লন্ডনের মেয়রও ছিলেন। ঘনিষ্ঠ মিত্রদের ‘বিশ্বাসঘাতকতায়’ কয়েক বছর আগেও যার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছিল, যার উল্টোপাল্টা মন্তব্য অনেকবারই কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বকে বিব্রত করেছে অবশেষে সেই জনসনই যাচ্ছেন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে।

আলেকজান্ডার বরিস দ্য ফেফেল জনসনের জন্ম নিউইয়র্কে ১৯৬৪ সালের জুন মাসে। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় জনসনের শৈশব কেটেছে নিউইয়র্ক, লন্ডন ও ব্রাসেলসে। ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব রেখে দিয়েছিলেন।

বরিস জনসনের মা শার্লট ফচেট ছিলেন একজন চিত্রশিল্পী। তিনি ১৯৬৩ সালে স্ট্যানলিকে বিয়ে করেন এবং তার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। পরের বছর জন্ম হয় বরিস জনসনের। সেই সূত্রে বরিস জনসনের ব্রিটেন ও আমেরিকা উভয় নাগরিকত্ব লাভ করেন। তার পিতা স্ট্যানলি জনসন সে সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি শাস্ত্রে অধ্যয়নরত ছিলেন। মায়ের দিক থেকে জনসন ব্রিটেনের রাজা দ্বিতীয় জর্জের বংশধর।

তবে বরিস জনসনের শিকড় রয়েছে তুরস্কে। তার প্র-পিতামহ অর্থাৎ তার দাদার বাবার নাম আলী কামাল। তিনি ছিলেন তুর্কি মুসলিম।

বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে আলী কেমাল প্রথমে একজন সাংবাদিক ছিলেন। পরে রাজনীতিতে যোগ দেন। অটোম্যান (ওসমানীয়) খেলাফতের শেষের দিকে খুব কম সময়ের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। ১৯২০ এর দশকে আলী কেমাল গণপিটুনিতে নিহত হন।

বাবার সূত্রে তার বংশের ইতিহাস জানতে, স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে বরিস জনসন একবার তুরস্কে গিয়ে বেশ কিছুদিন ছিলেন।

তার মুসলিম হেরিটেজের কথা মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্যে বলেন বরিস জনসন। তবে সম্প্রতি বোরকা পরা নারীদের নিয়ে তার এক কটু মন্তব্যের পর তাকে মুসলিম বিদ্বেষী হিসাবে অনেক গালমন্দ শুনতে হয়েছে।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি