ঢাকা, রবিবার   ১৩ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০৪, ৩ নভেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশের সংবিধানের আওতায় বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশ সরকারের আইনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারের আইনি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

নির্বাচন কমিশন: সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রয়োজন সাপেক্ষে কয়েকজন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের বিধান রয়েছে। রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের (প্রয়োজন সাপেক্ষে) নিয়োগ দেবেন। নির্বাচন কমিশনের সদস্য সংখ্যা একের অধিক হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান অনুসারে যেকোনো নির্বাচন কমিশনারের চাকরির মেয়াদকাল হবে তার প্রথম কার্য দিবস হতে পরবর্তী ৫ বছর কাল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে থাকা কোনো ব্যক্তি প্রজাতন্ত্রের কোনো পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হবেন। অন্যান্য কমিশনারগণ স্বীয় পদ ত্যাগের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগের যোগ্য হলেও প্রজাতন্ত্রের কোনো পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা: (অনুচ্ছেদ ১১৮(৪) এবং ১২৬, অনুচ্ছেদ ৪ এর ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন): নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন এবং শুধু সংবিধান ও আইনের অধীনে থাকিবেন। আইনত : নির্বাচন কমিশন এর সম্পূর্ণ বা আংশিক ক্ষমতা প্রদর্শন এবং কার্য সম্পাদনের কর্তৃত্ব এর চেয়ারম্যান/ যেকোনো সদস্য/ যেকোনো কর্মকর্তাকে দিতে পারেন। অনুচ্ছেদ ১১৮(৪) এবং ১২৬, অনুচ্ছেদ ৪ এর ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হবে। কমিশন প্রয়োজন বোধ করলে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে যেকোনো রকম সহায়তার জন্য যেকো্নো ব্যক্তি বা কর্তৃপক্ষকে নিয়োগ দিতে পারেন।

বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন (পিএসসি): বাংলাদেশের সংবিধানের আওতায় প্রতিষ্ঠিত একটি আধা বিচারিক সংস্থা। এটি সংবিধানের ১৩৭ ও ১৪০ অনুচ্ছেদ এবং আরও কিছু সরকারি বিধি-বিধান অনুসারে কাজ করে।

কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল (সিএজি):
বাংলাদেশের সংবিধান কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল (সিএজি) এর কার্যালয়কে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করে। সিএজি কর্তৃপক্ষের অধীনে প্রজাতন্ত্রের সরকারি একাউন্টস, সরকারি এজেন্সি, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং পাবলিক কোম্পানিসমূহের অডিট পরিচালনা করা হয় এবং তা সংসদে উপস্থাপিত হয়। সিএজি কার্যালয় সরকারি সম্পদ ব্যবহারের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদকে সহায়তা দিয়ে থাকে।

এটর্নি জেনারেল:
সংবিধানের ৬৪(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন কোন ব্যক্তি এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে এটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপতি কর্তৃক উত্থাপিত যেকোনো রেফারেন্সের ক্ষেত্রে তার নিজস্ব মত প্রকাশ করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি