‘বাবার প্রতিটি সিদ্ধান্তে মা পাশে ছিলেন’
প্রকাশিত : ১১:৫৮, ৮ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১২:৫৮, ৮ আগস্ট ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘বাবার প্রতিটি সিদ্ধান্তে মা পাশে ছিলেন। তিনি বাবার পাশে থেকে জাতি গঠন কর্মকান্ড এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।’
আজ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের জন্মদিন উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে মা আব্বাকে সবকিছু থেকে কিছুক্ষণের জন্য আলাদা করে রাখতেন। বলতেন ১৫ মিনিট শুয়ে রেস্ট নাও। অনেকে অনেক কথা বলবে, কিন্তু তোমাকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। গোটা দেশ তোমার দিকে তাকিয়ে। তোমার মনে যে কথাটা আসবে সেই কথাটাই বলবে।
তিনি আরও বলেন, আমার মা খুব জ্ঞানপিপাসু ছিলেন। তার খুব বই পড়ার অভ্যাস ছিল। আব্বার জন্য বই কিনতেন। লেখাপড়ার তেমন সুযোগ না পেলেও চিন্তা ভাবনায় তিনি খুব উচ্চমানের ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতি আজ বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে। জাতির পিতার পাশে থেকে জাতি গঠন কর্মকান্ড এবং দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বেগম ফজিলাতুননেছা ১৯৩০ সালের এইদিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
পাকিস্তানী শাসনকালে বঙ্গবন্ধুকে বারবার কারাবন্দী করা হলে এই মহীয়সী নারীকে অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়। তিনি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধকালেও অসীম সাহস, ধৈর্য ও প্রজ্ঞার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন।
বাঙালি জাতির গর্ব বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় বিপথগামী সেনা অফিসারদের হাতে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ছাত্র সংগঠন যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করছে।
আজ বনানী কবরস্থানে তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব হল আজ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব স্মৃতি স্বর্ণপদক, বৃত্তি, স্মৃতি বক্তৃতা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন। প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামাদ, ট্রেজারার এবং ট্রাস্ট ফান্ড সভাপতি প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন।
বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব স্মৃতি বক্তৃতা দেবেন। হল প্রভোস্ট ড. জাকিয়া পারভিন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এসএ/
আরও পড়ুন