ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

বিক্ষোভ দমনে সেনা নামানোর হুমকি ট্রাম্পের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৭, ২ জুন ২০২০ | আপডেট: ০৯:৫৮, ২ জুন ২০২০

রোববারের বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্ট জনস চার্চ পরিদর্শনে গিয়ে বাইবেল হাতে ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রোববারের বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্ত সেন্ট জনস চার্চ পরিদর্শনে গিয়ে বাইবেল হাতে ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা। পুলিশী হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানী ওয়াশিংটনসহ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়া রাজ্যগুলোতে সেনা মোতায়েনের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে নিউ ইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলসসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন শহর। কয়েক দশকের মধ্যে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেনি বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর দেশটি। এ ব্যাপারে নীরব থাকার কারণে সমালোচিত হওয়ার পর মুখ খুললেন ট্রাম্প। জানালেন, বিক্ষোভকারীদের দমাতে প্রয়োজনে দেশ জুড়ে সেনা শক্তি প্রয়োগের নির্দেশ দেবেন তিনি।

সোমবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, “দাঙ্গা, লুটপাট, ভাঙচুর, হামলা ও সম্পদ অযথা ধ্বংস করা ঠেকাতে আমি ভারী অস্ত্র সজ্জিত সৈন্য, সামরিক বাহিনীর সদস্য ও আইন প্রয়োগকারী অফিসার মোতায়েন করব।”

এ সময় ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজের বাইরে বিশৃঙ্খল অবস্থার কথাও তুলে ধরেন ট্রাম্প। তার ভাষায় এটা ‘সম্পূর্ণ অসম্মান’। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গভর্নরদের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বিক্ষোভকারীদের এসব কর্মকাণ্ডকে ‘ঘরোয়া সন্ত্রাস’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘বাসিন্দাদের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় যদি শহরগুলোর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী মোতায়েন করব এবং দ্রুত এসবের সমাধান করব।’

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সংবাদ সম্মেলনের পর পরই হোয়াইট হাউসের বাইরের দিক জনশূন্য করে স্থানীয় প্রশাসন।

দুই শতকের পুরোনো সেন্ট জনস চার্চ দেখতে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। কেননা রবিবারের বিক্ষোভের সময় চার্চটির বেশ কিছু ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। চার্চের জানালার সামনে দাঁড়িয়ে বাইবেল হাতে নিয়ে ছবিও তোলেন ট্রাম্প। আর বলেন, “আমাদের দেশটি মহান।”

উল্লেখ্য,  শুক্রবার রাতে ওয়াশিংটনে বিক্ষোভের সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা হিসাবে গোয়েন্দা দপ্তর থেকে কিছুক্ষণের জন্য হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরে মাটির নিচের একটি বাঙ্কারে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি