ভিডিও দেখুন
বিজিবিতে চালু হলো ডিজাস্টার ডাটা রিকভারি সেন্টার
প্রকাশিত : ১৩:২৪, ৩১ অক্টোবর ২০২০
যশোরে বিজিবির ৪৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ানে চালু হলো ডিজাস্টার ডাটা রিকভারি সেন্টার। এখানে সংরক্ষণ করা হবে সরকারি-বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ নানা তথ্য। সেন্টারটি চালুর দিনে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানালেন, ডিজিটাল তথ্যের নিরাপত্তার জন্য শিগগিরই ডাটা প্রাইভেসি আইন করা হবে।
বিজিবির মহাপরিচালক জানান, ভূমিকম্প বা যে কোন দুর্যোগ থেকে তথ্য বাঁচাতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখান থেকে সেবা নিতে পারবে।
যশোরের ঝুমঝুমপুরে ৪৯ নম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ রিজিয়ন সদর দপ্তর। এখানেই চালু হলো ডিজাস্টার ডাটা রিকোভারি সেন্টার।
এখানে সংরক্ষণ করা যাবে সরকারি-বেসরকারি নানা তথ্য। ভূমিকম্প ছাড়াও যে কোনো দুর্যোগ থেকে বাঁচবে তথ্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যশোর কম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখানেই গড়ে তোলা হলো সেন্টারটি।
সেন্টারের উদ্বোধন করেন তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। উপস্থিত ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম। দেশের বিশেষজ্ঞদের তৈরি করা সেন্টারটি ঘুরে দেখেন অতিথিরা।
সুধী সমাবেশে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী।
তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রাণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ডেটাকে দেশের মাটিতে স্টোর করা, দ্বিতীয়ত হচ্ছে ডেটাকে প্রোসেজাবল করা, তৃতীয়ত হচ্ছে ডেটা এনালাইসিস ক্যাপালিটি বিল্ডাপ করা। আমাদের ট্রাফিক পর্যায় প্রায় শেষের দিকে। ডেটা প্রাইভিসি, প্রোফেশন এন্ড লোকালাইজেশন নং। এটা আসলে প্রত্যেক দেশেই আস্তে আস্তে করবে এবং আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ করার জন্য এই আইনটা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করছি।
অনুষ্ঠানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক বলেন, এই ডাটা সেন্টারে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানই ডাটা সংরক্ষণ করতে পারবে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের ব্যবহারের পরে অতিরোক্ত যে ক্যাপাসিটি আছে সেটা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হোক বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান হোক যারা এখানে ডিজিস্টার রিকভারি সাইডে ব্যাকআপ নিতে চান তাদের জন্য এই সুবিধা আমরা প্রদান করবো।
ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান চাইলে এই ডাটা সেন্টারের সেবা নিতে পারবে।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন