ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০৯ মে ২০২৪

বিষাক্ত টক্সিক গ্যাসে বেঁচে আছে গোলাপী ফ্লেমিঙ্গোরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৪, ২৪ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৪৭, ২৪ মে ২০১৭

বিষাক্ত টক্সিক গ্যাসে পূর্ণ পূর্ব আফ্রিকার ন্যাট্রন লেকে আশ্চর্যজনকভাবে বেঁচে আছে গোলাপী ফ্লেমিঙ্গোরা। প্রায় ২৫ লাখ ফ্লেমিঙ্গো পাখির আবাসস্থল বিষাক্ত এ লেক। যেখানে উচ্চ মাত্রার লবণ ও সোডাসহ নানা রকম রাসায়নিক পদার্থের কারণে অন্যসব প্রাণী জীবন্ত মমি হয়ে যায় এই লেকে।
পূর্ব আফ্রিকার ন্যাট্রন লেক। আগ্নেয়গিরি নির্গত লাভার কারণে বিষাক্ত টক্সিক গ্যাসে পূর্ণ পুরো লেকের পানি। পানির তাপমাত্রাও ভয়াবহ রকমের বেশি। প্রায় ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পানিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার লবন ও সোডা। হাইড্রোজেন আয়নের পরিমাণও সমুদ্রের পানির তুলনায় বেশি এখানে। বিষাক্ত এসব পদার্থের কারণে লেকের পানিতে জীবন্ত মমি হয়ে যায় বিভিন্ন প্রাণী। যে কারণে এ মৃত্যুকূপের ধার কাছেও যায় না বন্যপ্রাণীরা।
তবে গোলাপী রঙা ফ্লেমিঙ্গোর সবচেয়ে প্রিয়স্থান উচ্চ তাপমাত্রার ভয়াবহ এ ন্যাট্রন লেক। প্রায় ২৫ লাখ ফ্লেমিঙ্গোর আবাসস্থল এই হ্রদ।
পাখিটির শক্ত চামড়া পানির উচ্চ তাপমাত্রা প্রতিরোধ করে। পানিতে থাকা নীল-সবুজ শৈবাল খায় ফ্লেমিঙ্গোরা। কিন্তু বিষাক্ত এ শৈবাল অন্য কোনো প্রাণীর পক্ষে হজম করাও সম্ভব নয়। যদিও এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই পাখিগুলোর পাখা গোলাপী।
উষ্ণ পানির ঝরনা থেকে পাখিগুলো পানি সংগ্রহ করলেও বেশিরভাগ সময় লবণাক্ত পানিই তাদের ভরসা। ফ্লেমিঙ্গোর মাথার কাছের গ্রন্থি অতিরিক্ত লবণ পাকস্থলীতে যাওয়ার আগে শুষে নেয় এবং পরে নাকের গর্ত দিয়ে বের করে দেয়।
ফ্লেমিঙ্গোরা একা থাকতে ভালোবাসে না। তাই বিষাক্ত লেকটিতেও ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায়।

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি