ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪

বেতিল স্কুলে এসএসসির ফরম পূরণে দ্বিগুন টাকা আদায়ের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২২:৫৭, ১২ নভেম্বর ২০১৯

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের মেধাবী বিদ্যাপিঠ বেতিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে এসএসসির ফরম পূরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কোচিং সহ বিভিন্ন খাতে টাকা দেয়ার নাম করে বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে দ্বিগুন টাকা আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তবে কোচিং নিষিদ্ধ থাকলেও তা অমান্য করে কোচিং করানোর জন্যই অতিরিক্ত ফি নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

স্থানীয় ও বিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, আগামী ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার এনায়েতপুর কেন্দ্রের অধিনে খুকনী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সৈয়দপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, মেহের-উন-নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, এনায়েতপুর ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়, স্থল পাকড়াশী ইন্সটিটিউট, বেতিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, সদিয়া দেওয়ানতলা শংকরহাটি উচ্চ বিদ্যালয় অংশ গ্রহন করবে। 

এর মধ্যে বেতিল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এসএসসির নির্বাচনী পরিক্ষায় ৪০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০০ জনের মত পাশ করেছে। আর সামান্য ব্যবধানে অকৃতকার্যদের মিলিয়ে সাড়ে ৩শ জনকে এসএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ দেবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এসএসসির ফরম পূরণে সরকার মানবিক ও বানিজ্যিক বিভাগের জন্য ১৮৮৫ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২০০৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে এই ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অপেক্ষাকৃত বেশি টাকা ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

এনায়েতপুর থানার গুমর্কী গ্রামের হত দরিদ্র আফসার আলীর মেয়ে স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী ফোয়ারা খাতুন সকল বিভাগে পাশ করে তাকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে ফরম পূরণ করতে হয়েছে। তাই উপায় না পেয়ে কষ্টে টাকা সংগ্রহ করে দিতে হয়েছে। 

আফসার আলী জানান, দরিদ্র বলে বার-বার গিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। পরে তাদের দাবীকৃত ৩৬শ টাকার স্থলে ৩ হাজার টাকা দিয়ে মেয়ের ফরম পূরণ করিয়েছি। 

বেতিলের ফুটপাতে পিঠা বিক্রেতা দরিদ্র আব্দুস ছালাম জানান, মানবিক বিভাগে পড়া মেয়ে নাজমা খাতুনের ফরম পূরণ বাবদ ৩ হাজার ৮শ টাকা দিতে হয়েছে বিদ্যালয়ে। শিক্ষকদের চাপে পড়ে স্বামর্থ না থাকলেও ধার করে এ টাকা দিতে হয়েছে আমাকে। তাদের মত অন্যদেরও একই অবস্থা। 

এদিকে বেতিল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান বাবু জানান, ভাল রেজাল্ট করানোর জন্য স্কুলেই কোচিং সেন্টার খোলা হবে। তাই কোচিং বাবদ তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে। 

এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও টেক্সজেন গ্রুপের পরিচালক আলহাজ্ব শেখ আব্দুস ছালাম জানান, যারা এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য কৃতকার্য হয়নি তাদের কাছ থেকেই কেবল বেশি টাকা কোচিং করানোর জন্য নিয়েছে শিক্ষকেরা। তাছাড়া কারো কাছ থেকে বেশি টাকা নেয়া হচ্ছেনা।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শফিউল্লাহ জানান, সরকারী নীতিমালার বাইরে যাবার কারো সুযোগ নেই। কেউ ব্যতয় ঘটালে তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসি


 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি