বেড়েছে শীতের তীব্রতা, চরম কষ্টে দিনমজুর-হতদরিদ্ররা
প্রকাশিত : ১০:০৫, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
উত্তরের জেলাগুলোতে দাপট দেখাতে শুরু করেছে শীত। তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে কাহিল উত্তরাঞ্চলসহ জনজীবন। বিশেষ করে হতদরিদ্র, দিনমজুর ও নদী তীরবর্তি মানুষেরা আছেন চরম কষ্টে।
সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে কয়েক জেলা। সাথে বইছে হিমেল বাতাস। কনকনে ঠাণ্ডায় সন্ধ্যা নামতেই শহরে জনসাধারণের চলাচল কমে যায়।
এদিকে, সপ্তাহ জুড়েই পঞ্চগড় জেলায় তাপমাত্রা ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করেছে। রোববার সেই তাপমাত্রা নেমে আসে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, আজ সোমবার সকাল ছয়টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ বইতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
ঠাকুরগাঁওয়ে দিনের বেলা ঝলমলে সোনালী রোদ্র থাকলেও রাতের বেলা জেকে বসছে শীত। ঘন কুয়াশার সাথে শীতের তীব্রতা বেলা ১১টা পর্যন্ত বজায় থাকে। এতে লোকজন হতদরিদ্র মানুষেরা ভোঘান্তির শিকার হচ্ছেন। শীতবস্ত্র না পাওয়ার অভিযোগ সাধারণ মানুষের।
গাইবান্ধায় কয়েকদিন ধরে বিকেল থেকে ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শীতের তীব্রতায় দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষ স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে পারছেন না। নদী তীরবর্তী দরিদ্র মানুষের জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শীতে কাবু হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় চাদরে ঢাকা থাকছে চার-দিক। ,হিমেল বাতাসে শীত কষ্টে পড়েছে জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬ টি নদ-নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলের দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষেরা।
যমুনাপাড়ের জেলা সিরাজগঞ্জে কুয়াশ ও হিমেল হাওয়ায় শীতের মাত্রা অনেকটা বেড়েছে। শীতের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে মানুষের মাঝে দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। যমুনা তীরবর্তী এলাকা ও কাজিপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুর উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে শীত জনিত নানা দুর্ভোগের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে গরম কাপড়ের অভাব ।
শীতে কাবু চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বেশি দুর্ভোগে দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষেরা।
এএইচ
আরও পড়ুন










