ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

ব্যস্ত দর্জিপাড়া, দম ফেলার ফুসরত নেই (ভিডিও)

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ১১:৪৩, ২৫ এপ্রিল ২০২২

Ekushey Television Ltd.

জমে উঠেছে গাইবান্ধা ও হিলির দর্জিপাড়া। দম ফেলার ফুসরত নেই কারিগরদের। নকশি সূচিপণ্যের বিপুল চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত জামালপুরের সূচিশিল্পীরাও।

করোনাকালে বন্ধ ছিল গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর, সাঘাটা, গোবিন্দগঞ্জে, পলাশবাড়ি, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সদরের চার শতাধিক দর্জি কারখানা। বেকার হয়ে যান এই শিল্পে জড়িত হাজারো শ্রমিক। 

ঈদকে সামনে রেখে কারখানার দরজা খুলেছেন টেইলার্স মালিকরা, আগের উৎসবগুলোর মতোই ব্যস্ত দর্জিশ্রমিকরাও। গ্রাহক বেশি, কাজ ও মজুরিও ভালো। 

দর্জি শ্রমিকরা বলেন, “এবার কাজের চাপটা একটু বেশি। সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা-১২টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।”

ট্রেইলর মালিকরা বলেন, “যে পরিমাণ চাহিদা সেই পরিমাণ প্রডাকশন দিতে পারছি না।”

পছন্দের পোশাক বানিয়ে নিতে টেইলার্সগুলোতে ভিড় করছেন গ্রাহকরা। বাড়তি চাপে তাই দিন-রাত সমানে কাজ করছেন হিলির পোশাক কারিগররাও। তবে টেইলার্স মালিকদের দাবি, কারিগরদের মজুরি, সুতাসহ অন্য উপকরণের দাম বাড়ায় পোশাকের বাড়তি মূল্য নিতে হচ্ছে।

হিলি বাজারের কারিগররা জানান, “এবার কাজকর্ম অনেক বেশি। এটার জন্য আমাদের সংসারটা বেশ ভাল চলছে।”

গ্রাহকরা বলেন, “সামনে ঈদ টেইলার্স কাপড় সেলাই করতে চায় না। তার কারণে আগেভাগেই কাপড় সেলাই করিয়ে নিয়েছি।”

জামালপুরের নকশিকাঁথা, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবিসহ নানা নকশিপণ্যের সুনাম এখন দেশ ছাপিয়ে বিদেশেও। চাহিদা বাড়ায় ব্যাপক প্রসার ঘটেছে এখানকার হস্তশিল্পের। ঈদে নকশি সূচিপণ্যের বিপুল চাহিদা মেটাতে চরম ব্যস্ত তাই জেলার সূচিশিল্পীরা। 

নারীকর্মীরা জানান, “এবার লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রায় ৩ হাজার টাকার সেলাইর কাজ করেছি।”

করোনার দুই বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে রাত-দিন কাজ করছেন সবাই। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি