ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪

ভারতে দুই সপ্তাহে আক্রান্ত ১ লাখ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৩, ৩ জুন ২০২০

করোনাক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেল ভারতে। এর মধ্যে সংক্রমণ চিহ্নিতের প্রথম ১১০ দিনে যেখানে এক লাখে পৌঁছেছিল সংক্রমণ, সেখানে মাত্র দু’সপ্তাহেই (১৫ দিনে) তা ২ লাখ ছাড়াল। 

আক্রান্তের এই পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দিচ্ছে, দেশটিতে কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে করোনা। ফলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভারত ভাল অবস্থানে রয়েছে বলে প্রথমদিকে যে দাবি করা হচ্ছিল, এখন আর সেটা বলতে ভরসা পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞদের অনেকেই।

আজ বুধবার সকালে কেন্দ্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আনন্দাবাজারে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আবারও সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে ভারতে। এ সময়ে ৮ হাজার ৯০৯ জনের দেহে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। একদিনে এত সংখ্যক লোক এর আগে সংক্রমিত হয়নি। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭ হাজার ৬১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

অপরদিকে, নতুন করে প্রাণ গেছে ২১৭ জনের। এ নিয়ে প্রাণহানি ৫ হাজার ৮১৫ জনে ঠেকেছে। এর মধ্যে দু’হাজার ৪৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। গুজরাটে এক হাজার ৯২ জনের। রাজধানী দিল্লিতে ৫৫৬ জন মারা গেছেন করোনার থাবায়। 

এছাড়া, মধ্যপ্রদেশে মৃতের সংখ্যা ৩৬৪ ও পশ্চিমবঙ্গে ৩৩৫। শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (২২২), রাজস্থান (২০৩), তামিলনাড়ু (১৯৭)-র মতো রাজ্য। আরন পুনরুদ্ধারের হার বুধবার সকাল পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.৩১ শতাংশে। যার সংখ্যা ১ লাখ ৩০৩ জন। 

অথচ শুরুর দিকে এমনটা ছিল না। ভারতে প্রথম কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ে উহান ফেরত কেরলের এক ছাত্রীর। এরপর থেকে সময় যত গড়িয়েছে প্রতি দিন নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনই মোট আক্রান্তের সংখ্যাও। আর প্রায় চার মাস পর সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২ লক্ষ। 

মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের ধাপে যদি ভাগ করা যায়, তা হলে দেখা যাচ্ছে প্রথম ৫০ হাজার পৌঁছতে সময় লেগেছে ৯৮ দিন। দ্বিতীয় ৫০ হাজার অর্থাৎ মোট আক্রান্ত ১ লাখে পৌঁছনোর মেয়াদ ১২ দিন। সেখান থেকে দেড় লক্ষে পৌঁছেছে ৮ দিন পর। আর সর্বশেষ ৫০ হাজার আক্রান্ত যোগ হয়েছে মাত্র ৭ দিনে। সংক্রমণ বৃদ্ধির এই গ্রাফ নিঃসন্দেহে উদ্বেগজনক বলেই মত ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের।

উদ্বেগের কারণ রয়েছে পাঁচ দিনের মুভিং অ্যাভারেজ বা চলন্ত গড়েও। কোনও একটি চলমান বিষয়ের কোনও একটি দিনের পরিসংখ্যান তার আগের দু’দিন এবং দু’দিন পরের হিসেবের গড়কেই পাঁচ দিনের চলন্ত গড় বলা হয়। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সমান তালে বেড়েছে এই চলন্ত গড়ও। 

মার্চের ৪ তারিখে এই গড় ছিল ৬। অর্থাৎ ওই পাঁচ দিনে গড়ে ৬ জন মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩১ মার্চে এসে সেই গড় হয়ে যায় ২৩০। আবার এক মাস পর ৩০ এপ্রিল এই গড় ছিল ১ হাজার ৮৭৯। ৩১ মে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় পৌঁছে যায় ৮ হাজার ৭৫ জনে।

বলা বাহুল্য, সময় যত গড়াবে, এই গড় আরও বাড়তে থাকবে, যদি না নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমে।

এআই//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি